গোবিন্দগঞ্জে চড়া দামে প্রণোদনার সার-বীজ কিনছেন চাষিরা

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৮:৪৮ PM, ২৮ নভেম্বর ২০২২

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সরকারি প্রণোদনার সার ও বীজ প্রকৃত কৃষকের না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কৃষি বিভাগের কর্মীরা বলছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মনগড়া তালিকা দেওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের দাবি, কৃষি বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সাহায্য নিয়ে জমি নেই এমন চাষিরাও উপকারভোগীর তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তাঁরা বিনা মূল্যের সার ও বীজ উত্তোলন করে কম টাকায় ডিলারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। পরে তা ডিলারদের কাছ থেকে চড়া দামে প্রকৃত চাষিদের কিনতে হচ্ছে।’

উপজেলায় বোরো মৌসুমের প্রণোদনা দিতে ৬ হাজার ৬৬৫ সুবিধাভোগী কৃষকের তালিকা তৈরি করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। ধানচাষি প্রত্যেক কৃষকের জন্য ৫ কেজি হাইব্রিড বীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে সরিষা চাষে ১ কেজি বীজের সঙ্গে ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, ১৭ কেজি গমের বীজের সঙ্গে ৩০ কেজি সার এবং ১ কেজি ভুট্টার বীজের সঙ্গে ৩০ কেজি সার বরাদ্দ করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। তালিকাভুক্ত কৃষকদের মধ্যে ধাপে ধাপে তা বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

তবে কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর সুবিধাভোগী কৃষকেরা অভিযোগ করেন, উপজেলার বেশির ভাগ প্রকৃত কৃষকই সরকারি এ প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

উপজেলার কয়েকজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, নিয়ম অনুযায়ী মাঠপর্যায়ে তাঁদের প্রকৃত কৃষক খুঁজে বের করে তালিকা করার কথা। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও নেতারা মনগড়া নাম দিয়ে তালিকা দিচ্ছেন। এখানে তাঁদের কিছু করার নেই।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজা-ই মাহমুদ বলেন, ‘চেয়ারম্যান-মেম্বাররা হলেন জনপ্রতিনিধি। তাঁদের সঙ্গে আমাদের গন্ডগোল করা তো উচিত না। আমাদের দায়িত্ব হলো সমন্বয় করে কাজ করা। আর এ কাজে যদি কেউ সহযোগিতা না করে পেশিশক্তি ব্যবহার করেন, তাহলে বুঝতে হবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বহির্ভূত কাজ করছেন। এখানে আমার বলার কিছু নেই।’

নীতিমালার ধারা উল্লেখ সহ আমি ইউনিয়ন পরিষদে চিঠি দিয়েছি যে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এ তালিকা করবেন। জনপ্রতিনিধিরা শুধু সহযোগিতা করবেন। এ বিষয়ে তাঁরা কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না।

তবে ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান শিবলু জানান, উপজেলা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরাই এ তালিকা করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কাছে জমা দেবেন। তাঁরা প্রকৃত কৃষককেই এ প্রণোদনার তালিকায় নিয়ে এসেছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফ হোসেন বলেন, প্রণোদনা দেওয়ায় অনিয়মের অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :