গোবিন্দগঞ্জে আলোচিত সাঁওতাল হত্যা মামলার নারাজির ওপর শুনানি ফের পেছাল

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১০:৫৪ PM, ০৪ অক্টোবর ২০২২

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বহুল আলোচিত তিন সাঁওতাল হত্যা মামলার নারাজির ওপর শুনানি ফের পেছাল। গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুল হাসানের বিচারিক আদালতে (৪ অক্টোবর) মঙ্গলবার এই মামলার নারাজির ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল।

এর আগে গত ১০ই জুলাই নারাজির ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। এনিয়ে নারাজির ওপর তিন দফা শুনানি পেছাল।

এদিকে, তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার, বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট, ক্ষতিপূরণ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সাঁওতাল-বাঙালির যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে দুই ঘন্টাব্যাপি গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালত সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করা হয়েছে। সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন শেখ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুফল হেমব্রম, কোষাধ্যক্ষ প্রিসিলা মুরমু, আদিবাসী নেত্রী সুচিত্রা তৃষ্ণা মুরমু, শারমিন মার্ডি, সদস্য ময়নুল ইসলাম, আনিছুর রহমান ও বিপুল রবি দাশ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, হত্যাকান্ড ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আজও গ্রেপ্তার করা হয়নি। মামলার মূল ১১ জন আসামীকে বাদ দিয়ে চার্জশীট দেওয়া হয়েছে। মামলার বাদী এর বিরুদ্ধে নারাজি করলেও তদন্তের নামে কালক্ষেপন করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। এতসব তথ্য প্রমাণ থাকা স্বত্বেও কেন? তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছেনা তা আমাদের বোধগম্য নয়।

অনতিবিলম্বে তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার, বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট, ক্ষতিপূরণ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ হত্যাকান্ডে জড়িতেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি সাঁওতাল-বাঙালির বাপ-দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি ফেরতের দাবী জানান বক্তারা।

উল্লেখ্য, গত ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর চিনিকল কর্তৃপক্ষ পুলিশ সঙ্গে নিয়ে সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ইক্ষুখামারে আখ কাটতে যান। এসময় সাঁওতালরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবী করে বাধা দিলে সাঁওতালদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। এতে শ্যামল হেমব্রম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু নামে তিন সাঁওতাল মারা যায়।

সেইসাথে সাঁওতালদের বসতবাড়ীতে অগ্নিমংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট করা হয়। সেই থেকে দাবী বাস্তবায়নে সাঁওতাল-বাঙালি যৌথভাবে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

আপনার মতামত লিখুন :