সাঁওতাল হত্যার বিচার ও বাগদাফার্ম সাঁওতাল পল্লীতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক সহজ শর্তে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবীতে সাঁওতাল-বাঙালি সমাবেশ
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, আদিবাসী ভূমি রক্ষা কমিটি ও সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের ডাকে (১৮ আগষ্ট) বৃহস্পতিবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নে কাটামোড়ে সাঁওতাল হত্যার বিচার ও বাগদাফার্ম সাঁওতাল পল্লীতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির স্বার্থে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃক সহজ শর্তে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবীতে সাঁওতাল-বাঙালি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি সাঁওতাল পল্লী জয়পুর থেকে শুরু করে কাটামোড়ে এসে শেষ হয়।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক ও জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বাবু, গাইবান্ধা সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবীর, সাঁওতাল নেত্রী প্রিসিলা মুর্মু, সুচিত্রা মুরমু তৃষ্ণা, অলিভিয়া হেমব্রম, সুফল হেমব্রম, আন্দ্রিয়াজ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) নেতা মৃণাল কান্তি বর্মন, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলি রানী দেবী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জসহ এই অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর কৃষকদের দিনের পর দিন অবহেলা করা হচ্ছে। তাঁরা ঠিকমতো পানি পাননি। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানে অতিরিক্ত টাকা দেয়ার দাবীসহ অবহেলার শিকার হচ্ছে এখনকার সাঁওতালরা। অতিকষ্টে তাঁদের ফসল ফলাতে হয়। এই অঞ্চলে সেচের পানি পেতে হয়রানি ও অব্যবস্থাপনা বন্ধ এবং বিএডিসির মাধ্যমে নির্ধারিত দামে বীজ, সার, কীটনাশক ও পানি দেওয়ারও দাবি জানান তাঁরা।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে সেচের পানি না পেয়ে দুই সাঁওতাল কৃষকের বিষপানে মৃত্যু প্রমাণ করে সাঁওতালসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কতখানি অবহেলার শিকার হচ্ছে। কর্মসূচি থেকে গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল এলাকায় প্রত্যেক কৃষকেরা ধানের জমিতে সেচের পানি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। একই সাথে গোবিন্দগঞ্জের বাগদাফার্মে তিন সাঁওতাল হত্যার বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করা হয়।

