গাইবান্ধায় ডিমের হালি ৪৫ টাকা

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৬:৫৮ PM, ১১ অগাস্ট ২০২২

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

কয়েকদফা দাম বেড়ে গাইবান্ধায় প্রতিহালি মুরগির ডিম এখন ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাত্র এক সপ্তাহে হালি প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ৮ টাকা।

তাতে এক পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়। বর্তামানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্যদ্রব্যটি এখন প্রায় ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। এরপরও ব্যবসায়ীরা বলছেন ডিমের দাম বাড়লেও লাভ নেই তাদের।

ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাত্র এক সপ্তাহে আগে ৩৭ টাকা হালি দামে মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে সেই ডিম পাইকারি বাজারে ৮ ও খুচরা বাজারে ১১ টাকা বাড়তি দিয়ে কিনতে হচ্ছে।

ডিম ব্যবসায়ীদের দাবি, কোম্পানিগুলোর থেকে বাড়তি দামে তাদের ডিম ক্রয় করতে হচ্ছে। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে। এছাড়াও মুরগির খাদ্যর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমের বাজার এখন নাগালের বাহিরে।

গোবিন্দগঞ্জের ডিম ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার বাজারে লেয়ার লাল মুরগির ১০০ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১২০ টাকা দরে। এই ডিম হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এই বাজারে লেয়ার মুরগির পাশাপাশি সাদা কক মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা হালিতে। এই মুরগির ডিমের ক্রেতা কম।

অপরদিকে শহরের মুদি দোকানগুলোতে লেয়ার মুরগির ডিম হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। আর এক ডজন লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা করে।

ওমর ফারুক নামে এক যুবক এসেছেন বাড়ির বাজার করতে। তিনি জানান, পুষ্টিগুণ বিবেচনায় বাড়িতে প্রতিদিনের খাবারে ডিম থাকে। আজকে এসে শুনি ডিমের হালি ৪৫ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে যদি এভাবে ডিমের দাম বেড়ে যায় তাহলে আর ডিম খেতে হবে না।

ডিম ব্যবসায়ী আফতাব বলেন, ডিমের সরবারহ স্বাভাবিক আছে। তারপরও কেন দাম বেড়েছে জানিনা। আমাদের যেমন দামে কিনতে হচ্ছে তেমন দামেই বিক্রি করছি। দাম বাড়ার জন্য বিক্রিও কমে গিয়েছে।

মুক্তার সরকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। বাসার জন্য ডিম কিনতে এসেছেন তিনি। মুক্তার বলেন, বাসা থেকে ডিম কেনার যা টাকা নিয়েছিলেন তাতে হয়নি। নিজের পকেটের বাড়তি টাকা দিয়ে ডিম কিনেছি।

ডিম ব্যবসায়ী আফতাব জানান, ডিম বিক্রি করে আমাদেরও লাভ হচ্ছেনা। প্রতি ১০০ পিস ডিমে আমরা লাভ করছি ১২ টাকা করে। আমাদের কোম্পানি থেকে বাড়তি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :