বিদ্যুৎ উদপাদন কম, লোডশেডিংয়ে গোবিন্দগঞ্জে জনদুভোর্গ

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:১৮ PM, ০৪ জুলাই ২০২২

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে গত তিনদিন ধরে শুরু হয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। দিনে-রাতে প্রায় ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবাসহ শিল্প-কলকারখানার উৎপাদন। বিদ্যুৎ এসে এক থেকে আধা ঘণ্টা পর আবারো চলে যাচ্ছে।

সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশে গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। ফলে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কমেছে। তবে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।

গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরের বাসিন্দা পারুল বেগম বলেন, ‘রান্না করাসহ ঘর-গৃহস্থালীর কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। দিনে ও রাতে ৮-১০ বার করে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ভ্যাপসা গরমে ছোট বাচ্চাসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে অস্থির হয়ে যাচ্ছি।’

পৌরশহরের চা বিক্রেতা ইউসুফ মিয়া বলেন, ‘লোকজন চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিত আর চা পান করত। কিন্তু গরমের কারণে এখন লোকজন দোকানে বসছেনা। ফলে চা বিক্রিও কমে গেছে।’

গোবিন্দগঞ্জের পল্লী চিকিৎসক ডা. সপন সরকার জানান, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। গরমে রোগীরা এসে চেম্বারে অস্বস্তিবোধ করছেন।

রাইস মিলের মালিক রেজাউল করিম বলেন, ‘এখন আমাদের চাল উৎপাদনের পিক টাইম। ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় উৎপাদন কমে গেছে। দিনে ৮-১০ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। একবার চলে গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ আসছে। সব ধরণের কল-কারখানার উৎপাদন ঠিক একইভাবে ব্যাহত হচ্ছে।’

গোবিন্দগঞ্জ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের (নেসকো) নির্বাহী প্রকৌশলী ইউসুফ আলী জানান, উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১২ মেগাওয়াট। সেখানে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সাপ্লাই পেয়েছি মাত্র সাড়ে ৩ মেগাওয়াট। গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে না পেরে আমরা রেশনিং করে বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিচ্ছি। কিছু ফিডার বন্ধ করে অন্য ফিডারগুলো চালু রাখছি। এ কারণে দেখা যাচ্ছে কোন এলাকায় এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকলে পরের ঘণ্টায় তারা আবার বিদ্যুৎ পাচ্ছে।

গাইবান্ধা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শেখ মনোয়ার মোরশেদ বলেন, ‘জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম পাচ্ছি। গ্যাসের সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। এই অবস্থা স্বাভাবিক হতে ২-৩ দিন সময় লাগবে।

আপনার মতামত লিখুন :