‘সরকারকে বিব্রত না করার প্রতিশ্রুতি’ দিয়ে নেতাদের জামিন চায় হেফাজত
ডিবিসি প্রতিবেদক;
কারাবন্দী নেতাদের মুক্তি চেয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সরকার ‘বিব্রত’ হয়, এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা ৫টি দাবি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করে এ দাবি সংবলিত চিঠি দেন।
চিঠিতে বলা হয়, ‘আমরা কথা দিচ্ছি, জামিন-পরবর্তী তারা এমন কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হবে না, যাতে রাষ্ট্র ও সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।’
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া ও ফোরকান উল্লাহ খলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিস, ঢাকা মহানগর সভাপতি আবদুল কাইয়ুম সোবহানী, সাধারণ সম্পাদক কেফায়েত উল্লাহ আজহারী।
হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধিরা প্রায় এক ঘণ্টা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সাজিদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তারা কারাবন্দী আলেমদের মুক্তিসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, এক বছরের বেশি সময় আলেম-ওলামারা বন্দী থাকার কারণে তাদের পরিবার এবং নিয়ন্ত্রণাধীন মসজিদ-মাদ্রাসা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বন্দী আলেমদের অনেকে মারাত্মক অসুস্থতায় ভুগছেন। কাউকে কাউকে হুইলচেয়ারে করে আদালতে হাজির করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ২০১৩ ও ২০১৬ সালে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু তা প্রত্যাহার করা হয়নি। বরং গত বছর যেসব আলেমদের গ্রেফতার করা হয়, তাদের প্রায় সবাইকে ২০১৩, ২০১৬ সালের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। উপরন্তু ২০২১ সালের কোনো কোনো মামলার অভিযোগপত্রও তৈরি হয়ে গেছে। বৈঠকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব মামলা দ্রুত প্রত্যাহারের ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান হেফাজতের নেতারা।
এদিকে বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চাইলে তার একান্ত সচিব মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রী এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে ইচ্ছুক নন।

