গোবিন্দগঞ্জে বসতবাড়ি উচ্ছেদ করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বসতবাড়ি উচ্ছেদ করে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রতিপক্ষের হামলায় দুদু প্রধান ও তার স্ত্রী পারুল বেগম গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ ঘটনা ছয়জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোচাশহর ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের দুদু প্রধানের সঙ্গে একই গ্রামের হাবিজার প্রধানে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। হাবিজার ও তার ছেলে মাসুমসহ কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে বিরোধপূর্ণ জমি দখলের চেষ্টা করে। কিন্তু দুদু প্রধান প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বে না গিয়ে আদালতের আশ্রয় নেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে। এরই একপর্যায়ে গত বুধবার (৫ এপ্রিল) সকালে জমি দখলের উদ্দেশ্যে হাবিজার ও তার ছেলে মামুনমসহ ভাড়া করা কয়েকজন লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দুদু প্রধানের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এসময় তাদের বাধা দিতে গেলে দুদু প্রধান ও তার স্ত্রী পারুল বেগমকে বেধরক মারপিট করা হয়। ভাঙচুরকৃত তিনটি ঘরের টিন, বাঁশ, খুটিসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায় হাবিজার প্রধানসহ তার লোকজন। এতে দুদু প্রধানের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে হাবিজার প্রধানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা দুদু প্রধানের সৎ মায়ের কাছ থেকে বসতবাড়ির সাড়ে তিন শতক জমি কিনে নেই। আমাদের কেনা জমি তারা ছেড়ে দিচ্ছিলনা। তারা ওই স্থানে নতুন করে স্থাপনা করতে চেয়েছিল। এসময় আমরা তাদের বাধা দিয়েছি।’
হাবিজার প্রধানের ছেলে পলাশ বলেন, ‘আমি দুদু প্রধানের সৎ মা তাহেরা বেগমের কাছ থেকে সাড়ে তিন শতক জমি কিনেছি। ওই বিষয় নিয়ে কেউ কথা বলবেননা। যারা তাদের পক্ষে কথা বলবে তারা সবাই তাদের মতই খারাপ।’
দুদু প্রধান বলেন, ‘বাবা সৎ মায়ের নামে বাড়ির জায়গাসহ কয়েক শতক জমি লিখে দিয়েছিল। আমি সৎ মায়ের কাছ থেকে বাড়ির সাড়ে তিন শতক জমি কিনে নেই। সেই জমি তারাও কিনেছে বলে দাবি করে আসছিল। আমি ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা করেছি। কিন্তু তারা আদালত মানতে নারাজ। এজন্য তারা আমার বসতবাড়ি উচ্ছেদ করে জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।’
গোবিন্দগঞ্জ থানার এএসআই ছামাদ জানান, জাতীয় জরুরীসেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। অভিযোগের বিষয়গুলো শুনে থানার ইনচার্জকে অবগত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রস্তুতি চলছে।

