নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রেশনিংব্যবস্থার প্রবর্তন এখন সময়ের দাবি
নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রেশনিংব্যবস্থার প্রবর্তন এখন সময়ের দাবি
গোলাম মোস্তফা;
আমাদের দেশে সবসময় যা নিয়ে তোলপাড় চলে তা হচ্ছে দেশের বাজারব্যবস্থা। সারাবছরই এই বাজার নিয়ে আমাদের দেশে চলে নানা আলোচনা-সমালোচনা। আলোচনা-সমালোচনার মূল কারণ বাজারের সাথে আমাদের পেট জড়িত। বাজার ঠাণ্ডা তো সবার পেট ঠাণ্ডা, আর পেট ঠাণ্ডা তো সবার মাথাও ঠাণ্ডা। তাই এই বাজারের সাথে দেশের রাজনীতি-অর্থনীতিসহ সবকিছু জড়িত। কিন্তু অতীব পরিতাপের বিষয়, সবকিছু জড়িত হলেও স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আমাদের বাজারব্যবস্থা একটা নিয়মশৃঙ্খলার ওপর আদৌ দাঁড়ায়নি।
যুক্তিসঙ্গত কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের দেশে হুটহাট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। কিছুদিন আগে দেশবাসী দেখেছে দফায় দফায় পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির ঝাঁজ। দেখেছে উদ্বৃত্ত থাকার পরও আলুর দাম বৃদ্ধি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হাজারো কসরত সত্ত্বেও কিছুতেই কমেনি সে সময় পেঁয়াজ বা আলুর দাম। প্রতি কেজি আলু-পেঁয়াজের দাম সাধারণের ক্রয়ক্ষমতা ছাড়িয়ে গেলেও ফাঁসির আসামিকে উকিলের অভয়দানের মতো আমাদের সরকার আলু-পেঁয়াজের চড়া দামে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য জনগণকে একের পর এক আশ্বাসবাণী শুনিয়ে গেছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তথাকথিত এই ব্যবসায়ীরা ঠিকই জনগণের পকেট ফাঁকা করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটি স্বাধীন দেশের সরকারের অসহায়ত্ব এর চেয়ে আর কী হতে পারে?
দেশে শুধু আলু-পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিই নয়; বেশ কয়েক বছর ধরে চাল-ডাল, ভোজ্যতেল, শাকসবজি, মাছ-মাংস, ডিম ও মসলার দাম বাড়ছে কারণে-অকারণে। রমজান এলে তো কথাই নেই! রমজান ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যেন এ দেশে সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। রমজানের আগে এবং রমজানের পরে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণ জিজ্ঞাসা করলে খুচরা ব্যবসায়ীরা দোষ চাপান বড় ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকদের ঘাড়ে। বড় ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা আমদানি করা নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী করেন আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে। দেশে উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীরা দোষারোপ করেন পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি, চাঁদাবাজি ও দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে। আর আমাদের সরকার বাহাদুর মুক্তবাজার অর্থনীতির দোহাই দিয়ে তার দায়িত্ব এড়িয়ে যান!! এ ধরনের চিত্রনাট্যের মঞ্চায়ন এ দেশে চলছে বছরের পর বছর ধরে। দেশের সাধারণ মানুষও পণ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির এ বিষয়টিকে নিয়তি বলেই মেনে নিচ্ছে।
টেকসই ও লাভজনক একটি কৃষিব্যবস্থা দেশের মানুষের দীর্ঘমেয়াদি খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের জন্য অপরিহার্য। অথচ আমাদের দেশে খাদ্য উৎপাদনের জমি এবং খাদ্যগ্রহণকারী ১৭ কোটি মানুষ– এ দুইয়ের সমন্বয়ে খাদ্য চাহিদা নিরূপণ করে চাষাবাদের বিজ্ঞানসম্মত একটি রীতি সর্বস্তরে আজও গড়ে ওঠেনি। অথচ দারিদ্র্যবিমোচন, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগসূত্র রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত চাষাবাদের।
রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের কাছে জনগণের অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, তার বার্ষিক চাহিদা নিরূপণে খাতওয়ারি সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই বললেই মনে হয়। অবশ্যই রাষ্ট্রকে জানা দরকার, দেশের মানুষের বার্ষিক চাল-ডাল, আটা, লবণ, পেঁয়াজ, আদা, মরিচ, জিরা, আলু, মাছ-মাংস ভোগ্যপণ্য হিসেবে বছরে কী পরিমাণ লাগবে। একই সঙ্গে জানতে হবে, ভোগ্যপণ্যের কতটা বহির্বিশ্ব থেকে আমদানি করতে হবে। আরও জানতে হবে, দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্যের কোনটি রফতানি করা সম্ভব আর কোনটি সম্ভব নয়। সর্বোপরি সরকারের দায়িত্ব, দেশের অভ্যন্তরে ভোগ এবং আমদানি-রফতানি পণ্যের পরিমাণ নির্ধারণ করে উৎপাদন বিষয়ে খোদ উৎপাদকদের ধারণা দেওয়া এবং মাত্রাতিরিক্ত পণ্য উৎপাদনকে নিরুৎসাহিত করা। রাষ্ট্র এ কাজটি সঠিকভাবে করতে না পারার কারণেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে প্রায় সময় ভোগান্তিতে পড়েন; সেই সঙ্গে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ ক্রেতাও।
আমরা প্রায়ই পত্রিকা পাতায় দেখে থাকি– দেশে কোনো সময় টমেটো, গাজর, মুলা বিক্রি করতে না পেরে কৃষক রাস্তায় ছড়িয়ে ফেলে দিচ্ছেন। আলুর বাম্পার ফলনে বাজারে ক্রেতা না পেয়ে রাস্তায় ছড়িয়ে দিয়ে কৃষক তার ওপর শুয়ে হাউমাউ করে কান্না করছেন। এ করুণ দৃশ্য আমাদের দেশে নতুন নয়। প্রতি বছরই আমাদের এ দৃশ্য দেখতে হয়।
দেশের কৃষক বাঁচাতে এবং চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ‘উৎপাদন কৃষকের, ধান সরকারের’ নীতির ভিত্তিতে এগোনো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ধানের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারিভাবে নতুন প্যাডি ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট (পিএমআই) বা ধান ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। সরকার কৃষি সম্প্রসারণ, কৃষি উন্নয়ন, কৃষি গবেষণা, ধান গবেষণা, বীজ প্রত্যয়ন, মৃত্তিকা, পাট গবেষণা, হর্টিকালচার উন্নয়নে আলাদা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হলেও দেশের প্রধান খাদ্যপণ্য ধান ব্যবস্থাপনায় কোনো কার্যকর প্রতিষ্ঠান আজও গড়ে তোলা হয়নি। এ কারণেই ধানের দাম নিয়ে কৃষককে এবং চালের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ ক্রেতাকে সব সময়ই দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা যায়।
শুধু ধান ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরানোই নয়; একটি স্বাধীন দেশে বাজারব্যবস্থায়ও শৃঙ্খলা ফেরানো অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সবার স্বার্থেই একটি সুশৃঙ্খল বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলা অপরিহার্য। কিন্তু দঃখের বিষয়, আমাদের বাজারব্যবস্থায় নিয়মশৃঙ্খলার কোনো বালাই বলতে নেই। স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে বাজার ব্যবস্থাপনায় নানা উদ্যোগ কার্যকর থাকলেও এখন তা একেবারেই নিষ্ক্রিয়। হাজারো ঢাকঢোল পেটানো সত্ত্বেও গড়ে ওঠেনি সমবায় বাজার। নিভু নিভু কার্যক্রম পরিচালনা করছে টিসিবি, কিন্তু পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে এর তেমন প্রভাব পরিলক্ষিত হয় না। এসব প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতার সুযোগ বুঝে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে কতিপয় সিন্ডিকেট। তারা ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম হাঁকান; আর সেই সঙ্গে বাড়ে ক্রেতাসাধারণের দীর্ঘশ্বাস।
উন্নত দেশের বাজারব্যবস্থার একটি বিষয় লক্ষণীয়– ধনী-গরিব প্রায় সবাই উৎসবের সময় অপেক্ষাকৃত কম দামে দ্রব্যসামগ্রী কেনার অপেক্ষায় থাকেন; যা আমাদের দেশের বাজারব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত। উন্নত দেশের বাজারব্যবস্থায় পরিবারের খরচ যে খুব কম হয়, তা কিন্তু নয়। এসব দেশে ব্যবসায়ীরা যে মুনাফা কম অর্জন করেন, তাও নয়। তবে বড় বড় উৎসবের সময় দ্রব্যমূল্য কম থাকে বলে সামগ্রিকভাবে বাজারে একটি স্বস্তিদায়ক পরিবেশ বিরাজ করে, যা দেশের অর্থনীতি এবং বিশেষ করে যে কোনো উৎসবের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তা ছাড়া উন্নত দেশের বাজারব্যবস্থায় সরকারি সংস্থাগুলোর কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকায় ব্যবসায়ীদের বাজার নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নেই । প্রতিযোগিতা বেশি থাকায় মুনাফার হার কমাতে বাধ্য হতে হন তারা, বাজার-সম্পর্কিত তথ্যপ্রবাহ অবাধ থাকায় ভোক্তারাও সচেতন থাকেন।
ব্যতিক্রম মনে হয় শুধু আমাদের দেশ। স্বাধীনতার পর পণ্যদ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ছিল কনজ্যুমার সাপ্লাই করপোরেশন (কসকর), সমবায় মার্কেটিং সোসাইটি এবং সর্বশেষ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। কিন্তু মুক্তবাজার অর্থনীতির ডামাঢোলে ভেস্তে গেছে এসব ফলদায়ক উদ্যোগ। মুক্তবাজার অর্থনীতির মোড়লদের নির্দেশনায় সরকার বাজারব্যবস্থার অনেক কিছুই এখন দেখে না দেখার ভান করে থাকে। কিন্তু স্বাধীনতাপরবর্তী সময়ে দেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল সরকারের হাত। ইচ্ছা করলেই ব্যবসায়ীদের কোনো পণ্যের দাম বাড়ানো সম্ভব ছিল না। তখন ডিলারের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পণ্য বিক্রি করত সরকার। সাবান থেকে শুরু করে চাল, ডাল, আটাসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য বিদেশ থেকে সরকারিভাবে আমদানি করে এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছে দিত। কিন্তু এখন বাজারে নিত্যদিন সংকট বিরাজ করলেও নিধিরাম সর্দারের মতো টিসিবির ট্রাকসেল ছাড়া সরকারের বিকল্প কোনো পণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা নেই।
তথকথিত মুক্তবাজার অর্থনীতি চালুর পর রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সরবরাহ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে; পাশাপাশি ‘সরকার ব্যবসা করবে না’– এমন ধারণা থেকে ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়েছে বিকল্প বাজারব্যবস্থা। যার সুযোগ ঠিকভাবেই কাজে লাগাচ্ছে এ দেশের কতিপয় ব্যবসায়ী। এসব ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে গাছের উপরেরটাও খাচ্ছে, তলারটাও কুড়াচ্ছে।
তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবিকে কার্যকর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেই হবে। আর সেজন্য দরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তোলা। বিশেষ করে স্থানীয়ভাবে পণ্য ক্রয় করে তা ভোক্তাপর্যায়ে বিপণনে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে টিসিবিকে। পণ্যদ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে হলে এর চেয়ে আর কোনো বিকল্প নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কল্যাণে সরকারের যদি সত্যিই সদিচ্ছা থাকে, তা হলে এ পথেই তাকে এগোতে হবে।
মানুষের কল্যাণের জন্যই ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন সুলতান আলাউদ্দীন খিলজি। মধ্যযুগে ভারতবর্ষের বিখ্যাত সুলতান আলাউদ্দীন খিলজি প্রজাদের কল্যাণে কঠোরভাবে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতেন। একটি স্বাধীন দেশে ভোক্তারা সুলতান আলাউদ্দীন খিলজির মতো একটি বাজারব্যবস্থাই প্রত্যাশা করেন। প্রায় গোটা ভারতবর্ষের ওপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাকারী খিলজি বংশের শ্রেষ্ঠ সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি (১২৯৬-১৩১৬ খ্রি.) জনগণের কল্যাণে সব ধরনের খাদ্যদ্রব্য, বস্ত্র, পশু এবং অন্যান্য দ্রব্যের বাজারদর বেঁধে দিয়েছিলেন। ইতিহাসবিদরা লিখেছেন, তার বাজার নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি মধ্যযুগের রাষ্ট্রনীতির অঙ্গনে অন্যতম বিস্ময়কর ব্যাপার ছিল। আর আমরা স্বাধীন দেশে একটি সুষ্ঠু বাজারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় হিমশিম খাচ্ছি, নাকি ইচ্ছা করেই সাথারণ মানুষকে নিত্যপণ্যের দামবৃদ্ধির নাকানিচুবানি খাওয়াচ্ছি।
বাজারে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হলে একটি কার্যকর বাজার-নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, যেখানে সুস্পষ্টভাবে সরবরাহ ও মজুদের ব্যাপারে দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। আমদানি মূল্য থেকে পাইকারি মূল্যের পার্থক্য কত হবে এবং পাইকারি থেকে খুচরা মূল্যের কত পার্থক্য, তাও নির্ধারণ করে দিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি বাজারেই একটি কেন্দ্রীয় মূল্যতালিকা টাঙানোর ব্যবস্থা করতে হবে। যে মূল্যতালিকা অনুসারে বাজারের দ্রব্যমূল্যের দাম নির্ধারিত হবে এবং এই মূল্যতালিকাটি একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দ্বারা প্রতিদিন পরীক্ষিত হতে হবে। কোনো দুর্যোগ পরিস্থিতিতে যাতে অতি মুনাফালোভীরা বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, তার ব্যবস্থাও সরকারকে করতে হবে। এসব পদক্ষেপ যত দ্রুত কার্যকর করা সম্ভব, তত দ্রুতই বাজারব্যবস্থায় স্বস্তি ফিরে আসবে। নতুবা পেঁয়াজ-আলু বা চামড়ার মতো প্রতিটি নিত্যপণ্যে আমরা নাকানিচুবানি সবসময় খেতেই থাকব।
খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে সব শ্রেণি-পেশার কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা প্রদানের বিষয়টি এখন উপেক্ষিত। এ বিষয়ে জোরালো দাবিও এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হয়নি। তাই রেশনিং ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা সময়ের দাবি। সবার জীবনে স্বস্তি আর স্বাচ্ছন্দ্য ফিরিয়ে আনতে রেশনিং ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করলে সীমিত আয়ের মানুষ অন্তত ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে পারবে।

