ঘোড়াঘাট পৌরসভা নির্বাচনে শেষ সময়ের প্রচারণায় নির্ঘুম প্রাথীরা
লোটাস আহম্মেদ, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি;
হাতে সময় আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। এর পরেই বিধিমালা অনুযায়ী বন্ধ হয়ে যাবে সব ধরণের প্রচার প্রচারণা। আর তাই শেষ মুহুত্বের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে ঘোড়াঘাট পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করা মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
আগামী ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ৪৮ ঘন্টা আগে থেকে বন্ধ থাকবে সব ধরণের প্রচার প্রচারণা। সে অনুযায়ী রবিবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারণা চালানোর সুযোগ পাবে প্রার্থীরা।
এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৪ জন প্রার্থী। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৯ জন প্রাথী।
শেষ মুহুত্বের এই প্রচারণায় দিনরাত ভোটারদের দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রাথীরা। চাইছেন ভোট ও দোয়া। দিন কিংবা রাত! প্রার্থীদের দেখা মিলছে পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রামে। রাস্তা দিয়ে যাতাযাত করা ব্যক্তিদের সাথেও তারা কুশল বিনিময় করছে এবং ভোট প্রর্থনা করছে। এছাড়াও তারা ভোটারদেরকে নানা ধরণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
তবে সাধারণ ভোটাররা বলছে, নির্বাচনে আগে সবাই মুখোরোচক অনেক প্রতিশ্রুতিই দেয়। কিন্ত তারা নির্বাচিত হলে এসব প্রতিশ্রুতির ৫০ ভাগও বাস্তবায়ন করে না। বরং তারা ভুলেই যায় যে নির্বাচনের আগে তারা কি কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা শাহজাহান মানিক বলেন, প্রচারণা শেষ হবার আর মাত্র কিছু সময় বাকি। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত জটিল কোন অভিযোগ কোন প্রার্থী করেননি। তবে ছোট খাটো বিষয়ে কিছু অভিযোগ ছিল। এসব অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা সেই প্রার্থীতে সতর্ক করে দিয়েছি। পাশাপাশি কোন প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে কিনা! তা দেখার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে ছিল।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হাসান কবির, পিপিএম (সেবা) বলেন, আমরা সব ধরণের প্রস্ততি সম্পন্ন করেছি। নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ হওয়ার দিন থেকে বিভিন্ন সড়ক ও মোড়ে আমরা চেকপোষ্ট স্থাপন করবো। যাতে কোন বাহিরাগত নির্বাচনী এলাকায় কোন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে। পাশাপাশি আমাদের বেশ কয়েকটি টহল টিম থাকবে।

