স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:০৩ PM, ৩১ জুলাই ২০২১

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রার্দুভাব এবং ব্যাপক বিস্তাররোধে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। শিল্পকারখানা বন্ধসহ ২৩ দফা নির্দেশনা দিয়ে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বন্ধ করে দেওয়া হয় গণপরিবহন।

সরকারের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে কাজ করছে। কিন্তু ঈদুল আজহার সময় মানুষের চলাচল ও পশুরহাটে বেচাকেনার বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করেছিল সরকার।

এদিকে, গতকাল শুক্রবার হঠাৎ করে বন্ধ শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। রোববার থেকে গার্মেন্টসসহ সব শিল্পকারখানা খোলা হবে। এমন খবরে কোরবানি ঈদে বাড়িতে আসা কর্মজীবীরা ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। কোথাও মানা হচ্ছে না নুন্যতম স্বাস্থ্যবিধি। এতে করোনার সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গণপরিবহন চলাচল না করায় শুক্রবার রাত থেকে উত্তরাঞ্চলের সব জেলাগুলো থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে পণ্যবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে কর্মজীবীরা ঢাকার দিকে ছুটছেন।

গার্মেন্টসকর্মী জাহাঙ্গীর আলম ও আমেনা বেগম জানান, করোনার কারণে শিল্পকারখানা বন্ধ। এরপর কঠোর লকডাউন তাই কোরবানির ঈদে বাড়ি এসেছিলাম, রোববার থেকে গার্মেন্টস খুলবে। কোনো বাস চলাচল না করায় বাধ্য হয়ে ট্রাকে করে ঢাকায় যাচ্ছি।

তারা বলেন, মাইক্রোবাসও চলাচল করছে, ভাড়া দুই হাজার টাকা। এত ভাড়া দেওয়ার মত আমাদের সামর্থ নেই। এরপরও ট্রাকে ৮০০ টাকা ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে।

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি খায়রুল ইসলাম জানান, রোববার থেকে গার্মেন্টস খোলার কথা শুনে কর্মস্থলে ছুটে চলেছে মানুষ। এটা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছেনা। তবে আমরা চেষ্টা করছি, ট্রাকে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যেন কেউ না যায়।

আপনার মতামত লিখুন :