লকডাউনের মেয়াদ বাড়লো আগামী ১৬ মে পর্যন্ত

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৯:৫৬ PM, ০৩ মে ২০২১

Spread the love

ডিবিসি প্রতিবেদক;

কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি তিন দিনই থাকবে, বাড়ানো হবে না। পোশাক কারখানা ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানেও ৩ দিনই ছুটি থাকবে। প্রতিষ্ঠান চাইলেও অতিরিক্ত ছুটি দিতে পারবে না।

গতকাল সোমবার (৩ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলবে। অবশ্য দূরপাল্লার পরিবহন, ট্রেন ও লঞ্চ আগের মতোই বন্ধ থাকবে। আজ মঙ্গলবার বা আগামীকাল এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে বলে জানা গেছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগামী ১৪ মে (শুক্রবার) ঈদ হতে পারে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঈদের দিন ও আগে-পরে দু’দিনসহ মোট তিন দিনের বেশি ছুটি দেওয়া হবে না। কাজেই ঈদের ছুটি হবে তিন দিন, এর মধ্যে শুক্র ও শনিবারও রয়েছে। শিল্পকারখানাও এ সময়ের চেয়ে বেশি ছুটি দিতে পারবে না। সরকারি-বেসরকারি অফিস যেগুলো যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। এর কোনো নড়চড় হবে না। এক জেলার বাস আরেক জেলায় চলবে না। আন্তঃজেলা পরিবহন বন্ধ থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মানুষকে মাস্ক পরাতে সরকার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে। এখন থেকে পুলিশ ও সিটি করপোরেশন এবং প্রশাসন দেশের প্রতিটি মার্কেটে সুপারভাইজ করবে। মার্কেটে মাস্ক ছাড়া বেশি লোকজন ঘোরাফেরা করলে প্রয়োজনে সেসব মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। দোকান মালিক সমিতি এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

এদিকে, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল জানিয়েছেন, ঈদ সামনে রেখে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শর্ত সাপেক্ষে গণপরিবহন চালু হচ্ছে। যাত্রী, বাসচালক ও সহকারীকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সিট খালি রেখে গণপরিবহন চালাতে হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকার কোনো গাড়ি ঢাকা জেলার সীমারেখার বাইরে যেতে পারবে না। নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতি ট্রিপে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করাও বাধ্যতামূলক।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে লকডাউন চলছে। অবশ্য প্রথম সপ্তাহে লকডাউন কিছুটা শিথিল ছিল। সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা ছিল। গণপরিবহনও অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করেছে। কিন্তু সংক্রমণ না কমায় দ্বিতীয় ধাপে ১৪ এপ্রিল থেকে দেশে জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া বিধিনিষেধ রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :