ফেনসিডিল কাণ্ড; এএসপি সহ তিন পুলিশ প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক;
বগুড়ার শিবগঞ্জে উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের সংখ্যার সাথে মামলায় মিল না থাকায় এএসপি সহ তিন পুলিশ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বগুড়ার পুলিশ সুপার।
ফেনসিডিল কাণ্ডে; শিবগঞ্জ সার্কেল এএসপি আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকীকে বরিশাল রেঞ্জে স্ট্যান্ড রিলিজ ও মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহিনউজ্জামান ও মাদক মামলার বাদী এসআই সুজাউদ্দৌলাকে পুলিশ হেকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপারের নির্দেশে ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল রাতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশী চালায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সদস্যরা।
চেকপোস্টে নেতৃত্বে ছিলেন শিবগঞ্জ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ সদস্য জানান, যানবাহন তল্লাশীকালে ঢাকাগামী খালেক পরিবহন থেকে নাজিম নামে এক ব্যক্তিকে ৫০ বোতল এবং পিংকি পরিবহন নামে কোচ থেকে সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে ১৯৮ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক করা হয়।
এ ঘটনায় মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজাউদ্দৌলা বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। ৪ এপ্রিলে দায়েরকৃত মামলা নং- ৪ ও ৫।
মামলায় পিংকি পরিবহন থেকে উদ্ধারকৃত ১৯৮ বোতল ফেনসিডিলেরস্থলে ১১০ বোতল জব্দ দেখানো হয়। বাকী ৮৮ বোতল ফেনসিডিল পুলিশের এক কর্মকর্তা সোর্সের মাধ্যমে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ উঠে।
এরই প্রেক্ষিতে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুইঁয়া বিপিএম বার, মামলা দুটি ডিবিতে স্থানান্তরের আদেশ দেন। এছাড়াও তিনি গত ২০ এপ্রিল মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ফেনসিডিল উদ্ধারের সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্য ছাড়াও মামলার স্বাক্ষীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
এরপর বুধবার বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুইঁয়া বিপিএম বার তাদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. আব্দুর রশিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও একজন সাব ইন্সপেক্টরকে প্রত্যাহার করে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং সহকারী পুলিশ সুপার শিবগঞ্জ সার্কেলকে বরিশাল রেঞ্জে বদলী করা হয়েছে।

