নিরব প্রশাসন, বালু উত্তোলন অব্যাহত

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:১৪ PM, ৩১ মার্চ ২০২১

Spread the love

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার করতোয়া নদী ও আখিরা নদীসহ ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন হচ্ছে বালু, দেখেও না দেখার ভান করছে প্রশাসন। প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় বালু দস্যুরা মেতে উঠেছে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে। কৃষি জমি, পরিত্যক্ত পুকুর, জলাশয়, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বসতবাড়ির পার্শ্বে থেকে এমনকি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের নিচ থেকে বালু উত্তোলন করে পাহাড় গড়ে তুলেছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ বালু দস্যুরা মসজিদ-মাদ্রাসা ও মহাসড়কের উন্নয়নের দোহাই দিয়ে সুকৌশলে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতাদের বালু দস্যুদের সাথে যোগসাজস থাকায় প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা এলাকাবাসী। এমনকি সাংবাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অনেকবার অবগত করেও প্রতিকার মেলেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, তারা নাকি প্রশাসনের কাছে বালু উত্তোলনের জন্য বৈধ কাগজ করে নিয়েছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।

উল্লেখ্য, ২নং হোসেনপুর ইউপি’র সোহেল মিয়া নামে এক ব্যক্তি শিশুদহ বাধেঁর পাশে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছে, একই ইউনিয়নের করতোয়া নদীর চেরেঙ্গার পুরাতন বাঁধের পাশে একটি প্রভাবশালী মহল ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে, কিশোরগাড়ী ইউপি’র মোতাল্লিব মন্ডল (মন্টু) নামে এক ব্যক্তি কাশিয়াবাড়ী বাঁধের পাশে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছে, মনোহরপুর ইউপি’র মিজু মিয়া নামের একব্যক্তি দির্ঘদিন ধরে ডিপেরবাজারে ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তার পাশে বালু উত্তোলন করছে, এভাবেই বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এবিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বারবার অবগত করলেও তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা। প্রশাসনের উদাসীনতায় ব্যপকভাবে হুমকির মুখে পরেছে রাস্তা, কালভার্ট, বসতভিটা ও আবাদি জমি। উক্ত বিষয়ে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ।

আপনার মতামত লিখুন :