সেচ পাম্পে পুনঃবিদ্যুৎ সংযোগের দাবীতে সড়ক অবরোধ
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সেচ পাম্পে পুনঃবিদ্যুৎ সংযোগের দাবীতে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে আদিবাসীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের কাটামোড় এলাকায় অবরোধ করা হয়। এসময় সড়কের দুপাশে সকল যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে সেচ পাম্পে পুনঃবিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা। এসময় প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় তারা। অন্যথায় আবারো অবরোধ কর্মসূচির দেওয়া হবে বলে আল্টিমেটাম দেন আদিবাসীরা।
পুলিশ কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম- এর সাথে কথা হয়েছে। তার দেওয়া কথা মত শনিবার পুনঃবিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে। 
উল্লেখ্য, রংপুর চিনিকলের আওতাধীন উপজেলার সাহেবগঞ্জ ইক্ষুখামারের বিরোধপূর্ণ জমি বাপ-দাদার দাবী করে দখলে নিয়ে রবি ফসলসহ বিভিন্ন ফসলাদী চাষাবাদ করে আসছিল। এরই ন্যায় চলতি ইরিবোরো মৌসুমে ধানের চারা রোপণ করা হয়। গত কয়েকদিন আগে চিনিকল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সেচের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সেচ পাম্পে পুনঃসংযোগের দাবীতে আদিবাসীরা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বিদ্যুৎ সংযোগের প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিদ্যুৎ অফিসকে নির্দেশ দেন। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিস অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সেচ সংযোগের দাবীতে সড়ক অবরোধ করে আদিবাসীরা।
সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কে অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া ছিল। অফিসের কথা মত পূর্বের বিদ্যুৎ বকেয়া বিল পরিশোধ করি। আমরা প্রায় ৪০০ একর জমিতে ইরিবোরো ধান রোপণ করেছি। হঠাৎ করে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন গিয়ে সেচ পাম্পের সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণে রোপণ করা ৪০০ একর জমির ধানের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। যদি পুনঃবিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ায় না হয় তাহলে আমাদের ধানের আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ গোবিন্দগঞ্জ জোনাল কার্যালয়ে ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আখতারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া ছিল তা বিচ্ছিন্ন করার জন্য চিনিকল কর্তৃপক্ষ আমাদের চিঠি দিয়েছে। চিঠির আলোকে সেচ পাম্পের বিদ্যুৎ সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
জানতে চাইলে চিনিকলের মহা ব্যবস্থাপক (এমডি) মো. করীব বলেন, আমি কিছু বলতে পারব না। অফিসে জিএম, এডিএম আছে। আপনারা তাদের সাথে কথা বলুন।

