জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ৪০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ইউনিট কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
সাংবাদিক নির্যাতন-হয়রানি বন্ধে দেশ, সমাজ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কলমযোদ্ধাদের ঐক্যের আহ্বানে এক র্যালি, কেক কর্তন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা গোবিন্দগঞ্জ ইউনিট কার্যালয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা ইউনিটের সভাপতি প্রখ্যাত লেখক সাংবাদিক ও নাট্যকার সৈয়দ নূরুল আলম জাহাঙ্গীর।
এতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের জেলা প্রধিনিধি ও জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রহমান স্বপন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ইউনিটের সভাপতি জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজাদুর রহমান সাজুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গোবিন্দগঞ্জ রিপোর্টাস ফোরামের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহবায়ক এম এ মতিন মোল্লা, গোবিন্দগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান টুকু, সাপ্তাহিক কাটাখালীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও দৈনিক আমার সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি মোয়াজ্জেম হোসেন আকন্দ, প্রেস ক্লাব গোবিন্দগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রধিনিধি এনামুল হক, সাপ্তাহিক সাম্যমঞ্চের বার্তা সম্পাদক শওকত জামান, সাপ্তাহিক খোলা হাওয়ার সম্পাদক ও গোবিন্দগঞ্জ প্রেস ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, চ্যানেল আই জেলা প্রতিনিধি ফারুক হোসেন, সাংবাদিক নূর আলম, বি.কম শিখা, কালামানিক দেব, রেজাউল করিম, নাদিরা বেগম, সুইটি বেগম প্রমুখ।
এরপর র্যালি মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কার্যালয়ে কেক কর্তন ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
সভায় প্রধান বক্তা আবেদুর রহমান স্বপন বলেন, সংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। সমাজ, দেশ, জাতির স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লেখতে হবে। গোবিন্দগঞ্জে বড় সমস্যা বন্যা ও জলাবদ্ধতা। এই বন্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও তার কাট-ছাট ব্যবহার হচ্ছে। বন্যা আর বর্ষায় জলাবদ্ধতায় নাগরিক ভোগান্তি হলেও এ উপজেলায় করতোয়া নদীর বুকে শতাধিক পয়েন্টে বালি উত্তোলন হলেও প্রশাসন ও সাংবাদিকরা নীরবতা পালন করছে। দেশের স্বার্থে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যের তাগিদে প্রয়োজনে বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে মামলা করুন। এসময় তিনি ঘোষণা দেন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে কোন মামলা না হয় তাহলে আমি ২৮ ফেব্রুয়ারি গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করব।
তিনি উপজেলা প্রশাসনের সমালোচনা করে বলেন, জেলা প্রশাসনের আইন-শৃঙ্খলার গত সভায় গোবিন্দগঞ্জের বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসক নির্দেশনা দিলেও তা ১২দিন অতিবাহিত হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

