ফিরে দেখা বাতিঘর, গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৬:২৫ PM, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

Spread the love

প্রভাষক হায়দার আলী;

গাইবান্ধা জেলার অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গোবিন্দগঞ্জ হাইস্কুল।’ তৎকালীন উপজেলায় শিক্ষা বিস্তারে অগ্রদূত ব্যক্তিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠা পায় প্রতিষ্ঠানটি।’ প্রতিষ্ঠার দীর্ঘদিন পর ১৯১২ সালে হাইস্কুলে রূপান্তরিত হয়ে আজও আলো ছড়াচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।’ সেই পথচলায় তথ্য সংকটে ক্ষুদ্র এ প্রয়াস ‘ইতিহাস ঐতিহ্যে ফিরে দেখা গোবিন্দগঞ্জ হাইস্কুল।’

প্রতিষ্ঠালগ্নের কিছু কথা;

স্থানীয় কিছু আলোকিত জনগণ ও ববনপুরের জমিদারের সহায়তায় ঠাকুর প্রদ্ব্যোৎ কুমার রায় বাহাদুরের নিকট হতে জমি গ্রহণের মাধ্যমে অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু।’ সেসময় গোবিন্দগঞ্জ এম.ই (M.E) স্কুল হিসাবে নামকরণ করা হয়।’ পরবর্তীতে ১৯১২ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনক্রমে ৯ম শ্রেণি খোলা হয়। তখন এই প্রতিষ্ঠানটির নাম হয় গোবিন্দগঞ্জ এইচ.ই (H.E) স্কুল।’ ১৯১৪ সালে এই বিদ্যালয়টি প্রথম এন্ট্রাস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।’ ১৯৬২ সালে দ্বি-মুখী শিক্ষা (বিজ্ঞান, মানবিক), ১৯৬৫ সালে কৃষি বিভাগ চালুর মাধ্যমে বহুমুখী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।’ অদ্যবধি প্রতিষ্ঠানটির এন্ট্রাস, মেট্রিকুলেশন ও এস,এস,সি পরীক্ষার ফলাফল খুবই ভালো।’

‘গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়টি’ বর্তমানে সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ১০৫ বৎসর পরে বিদ্যালয়টি ২০১৭ সালের ৩০ আগস্ট সরকারিকরণ করা হয়। এখন এর নাম হয়েছে ‘গোবিন্দগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।’ বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঠিক দিকনির্দেশনায় পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানটি দেশে, এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতি অর্জন করেছে।

বোর্ড পরীক্ষায় মেধাতালিকায় স্থান;

প্রতিষ্ঠানটি হতে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষাবোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলে মেধা তালিকায় স্থান করে নেয়। তাদের মধ্যে-১৯৬৯ সালে কৃষি বিভাগ থেকে মেধাতালিকায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন মো. জহুরুল ইসলাম; ১৯৭৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১২তম স্থান দখল করেন বিকাশ কুমার মজুমদার; ১৯৮০ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অষ্টম স্থান অধিকার করে সাইয়েদুল বাশার মো. রশিদুন নবী; ১৯৮২ সালে মানবিক বিভাগ থেকে চতুর্থ স্থান দখল করেন মো. শরিফুল ইসলাম; ১৯৯৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৮তম স্থান দখল করেন একেএম হাবিবুর হক।

প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষকগণের তালিকা;

শীতল কুমার মজুমদার, বিএসসি বিটি (১৯১২-১৯২৮); ক্ষীরোদ লাল চৌধুরী, বিএবিটি, (১৯২৮-১৯৪৮); মোহাম্মদ আলী মিয়া, বিএবিটি (প্রেসিডেন্ট পদকপ্রাপ্ত) (১৯৪৮-১৯৭৩); ওয়াজেদ আলী খন্দকার, বিএসসি, (কৃষি প্রশিক্ষণ) (১৯৭৩-১৯৯০); আব্দুর রশিদ আকন্দ, বিএবিএড, (১৯৯০-২০০১); আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ, বিএ বিপিএড (ভারপ্রাপ্ত) (২০০১-২০০৩); এবিএম কামরুল হোদা, এম.এস.সি; বি.এড; এল.এল.বি (২০০৩-২০১৮); ভারপ্রাপ্ত মো. মোকাররম হোসেন – বিপিএড (২০১৮-২০২০) ও ভারপ্রাপ্ত মোছাঃ রুমিলা ইয়াসমিন – ২০২০- চলমান।

আপনার মতামত লিখুন :