গোবিন্দগঞ্জে লোকদেখানো অভিযান, সরিষার মধ্যেই ভুত!

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৬:২৭ PM, ২৪ জানুয়ারী ২০২১

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গলদ রয়েছে গোঁড়ায়। যে সরিষায় ভুত তাড়ানো হবে, সেই সরিষার মধ্যেই রয়েছে ভুত। প্রশাসন অভিযান চালালেও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বন্ধ হচ্ছে না মাটি ও বালু উত্তোলন।

উপজেলার করতোয়া (কাটাখালী) নদী থেকে বালু উত্তোলন এবং স্বল্পমূল্যে আবাদী জমির মাটি কিনে চড়ামূল্যে বিক্রির করে আসছে মাটিদস্যুরা।

প্রতিদিন প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে দিনে-রাতে শত শত ড্রাম ট্রাক ভর্তি বালু ও মাটি অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নদীতে রয়েছে অর্ধশত ড্রেজার মেশিন, সেগুলো দিয়ে তোলা হচ্ছে বালু। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নাকের ডগায় এসব কারবার হলেও অজ্ঞাত কারণে নীরব রয়েছে প্রশাসন।

মাটি ও বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে রয়েছে পরিবেশ। ধ্বংষ হচ্ছে বনায়ন, পরিবেশ হারাচ্ছে ভারসাম্য।
এদিকে প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ও ভুক্তভোগিসহ এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন বালু দস্যুদের কাছ থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকে। একারণে প্রশাসন অভিযানের নামে তামাশা দেখায়। বালু তোলা বন্ধ হয়না।

স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন ইচ্ছা করলেই বালু তোলা বন্ধ করতে পারে। এতে শুধু তাদের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। কিন্তু প্রশাসনের উদাসীনতায় বালু তোলা বন্ধ হচ্ছেনা।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে মাসিক সমস্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান বলেন, এসব ইউএনও মহোদয়ের কাজ, আপনারা তার সঙ্গে কথা বলুন।

জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মন বলেন, আমরা অভিযান পরিচালনা করে মামলা দিয়েছি বাকি কাজ থানা পুলিশ করবেন।

গোবিন্দগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে দিনে-রাতে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলেও প্রশাসন নীরব কেন। আপনারা বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করেন। আর আমিও বিষয়টি দেখছি।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আব্দুল মতিন বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। এরপরও বন্ধ করা যাচ্ছেনা। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন :