তথ্য গোপন করে ঘুরেফিরে এক জেলাতেই ১১ বছর
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
ইলেকশন কমিশনে পার্সোনাল (পি.ডি.এস) ডাটা শীটে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিসার শাহীনুর আলমের বিরুদ্ধে। তথ্য গোপন করে ঘুরেফিরে এক জেলাতেই ১১ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আগামী ৩০ জানুয়ারীতে পৌর নির্বাচন। সেই মোতাবেক সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নির্বাচনের দায়িত্ব পান তিনি।
নিয়মানুযায়ী তিনি নিজ জেলায় চাকরী করতে পারবেন না। এমনকি শ্বশুরবাড়ীর জেলাতেও নয়। কিন্তু পলাবাড়ী নির্বাচন অফিসার শাহীনুর আলমের গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরের ৫নং ওয়ার্ডের বুজরুক বোয়ালিয়া হাসপাতাল রোডে রয়েছে চারতলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন। যেখানে তিনি দীর্ঘদিন থেকে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছেন। একই ওয়ার্ডে রয়েছে শ্বশুর বাড়ীও। তার স্ত্রীও পৌরশহরের ৫নং ওয়ার্ডের ভোটার। গোবিন্দগঞ্জে স্থায়ীভাবে বসবাস করলেও কৌশলগত ভাবেই শিবগঞ্জের ভোটার থেকেছেন শাহীনুর আলম। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি ১১ বছর পার করছেন এ জেলায়। এছাড়াও নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাচনে রাজা মিয়া নামের এক প্রার্থীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার কথা বলে উৎকোচ গ্রহণ করেন তিনি। সম্প্রতি পলাশবাড়ী পৌর নির্বাচনে প্রার্থীকে নানাভাবে সুবিধা দেওয়া কথা বলে উৎকোচ নেন তিনি। এমনিভাবে বিভিন্ন সময় তিনি প্রার্থীদের সুবিধা দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পার্শ্ববর্তী বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বাসিন্দা শাহীনুর আলম। ২০০৯ সালের ১০ জুন গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে যোগদান করেন তিনি। এরপর ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর গাইবান্ধা সদর, ২০১৪ সালের ১১ মে আবারও পলাশবাড়ীতে, এরই মাঝে সুন্দরগঞ্জ ও গোবিন্দগঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে পলাশবাড়ীতে কর্তরত আছেন শাহীনুর আলম।
সব অভিযোগ অস্বীকার করে শাহীনুর আলম বলেন, গোবিন্দগঞ্জে আমার বাসা আছে ঠিকই। কিন্তু আমি সেখানে বসবাস করলেও আমি এখনো শিবগঞ্জের ভোটার। তাই এ বিষয়ে আপনাদের আর কিছু বলার নেই বলে আমি মনে করি।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো. আব্দুল মোত্তালিব বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। তারপরও এখানে আমার কিছু করার নেই। আপনারা উচ্চ মহলে জানাতে পারেন।
জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুল মতিন বলেন, আমি শুনেছি, শোনার পর বিষয়টি আমি উচ্চ মহলে জানিয়েছি।

