লাখাইয়ে আলোচিত রাসেল হত্যা মামলা এখনও আলোর মুখ দেখেনি
লাখাই (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি;
লাখাইয়ে আলোচিত রাসেল হত্যা মামলা ১মাস ৩দিনেও আলোী মুখ দেখেনি। এ নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
এ ব্যাপারে লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান রাসেল হত্যা মামলার প্রথমে তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক দেবাশীষ তালুকদার তিনি বদলী হয়ে যাওয়া এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) চম্পক দাম কে, তিনিই বলতে পারবেন রাসেল হত্যার মামলার কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে রাসেল হত্যার মামলার বাদী জমিলা খাতুনের সাথে তার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার ভাষায় বলে কিতা কইতাম, আমার মামলার আসামীরা ঘুরে বেড়ায় আর বলে মামলা ফ্রিজে রাইখ্যা দিছে।
তিনি আরো বলেন আসামীরা গেরামে ঘুইরা বেড়ায় পুলিশ আসামী ধরেনা। পুলিশে আসামী ধরেনা এ ব্যাপারে কি ব্যবস্থা নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি তার ভাষায় বলে আমার উকিলের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নিমু।
এ ব্যাপারে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লাখাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) চম্পক দামের সাথে আলাপ করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক দেবাশীষ তালুকদার বদলীর পর আমার উপর এ মামলার তদন্তভার দেয়া পর আমি আইনী প্রক্রিয়ায় তদন্তকার্য চালিয়ে যাচ্ছি।
এ মামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ মামলায় মূুল আসমাীকে আটক করেছি এবং আসামী বিজ্ঞ আদালতে কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তদন্ত কার্য অব্যাহত আছে।
এ মামলায় কতজন আসামী করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আটক আসামী সহ ১২ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি আরো জানান রাসেল হত্যার কোন প্রত্যক্ষ কোন স্বাক্ষী পাইতেছি না তাই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তদন্ত করে প্রকৃত আসামীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা অব্যাহত আছে।
তিনি আরো বলেন পুলিশের কাজ হলো কোন নিরপরাধ ব্যাক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় এই বিষয়টি মাথায় রেখেই তদন্তের কার্য সমাধান করেই প্রকৃত অপরাধীদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা যেন হয় সেই দিক অবলম্বন করে যাচ্ছি।

