লাখাইয়ে ভরাবর্ষা মৌসুমে মাছের আকাল

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৬:৪১ PM, ২২ জুলাই ২০২৩

Spread the love

লাখাই (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি; হবিগঞ্জ জেলার  লাখাই উপজেলায়  ভরা বর্ষা মৌসুমে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। হাটবাজার গুলোতে মাছের সরবরাহ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আর যা বাজারে পাওয়া যায় তার অগ্নিমূল্যের কারনে ও সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় জনজীবনে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে।

লাখাইয়ে হাটবাজার গুলোতে সরজমিনে দেখা যায় মাছের সরবরাহ এর তুলনায় গ্রাহক অনেক বেশী। বাজারের অবস্থা এমন যে আগে আসলে হয়তো ভাগ্য কিছুটা মাছ কিনতে পারছেন যারা পরে আসেন তাদের খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। স্থানীয় বুল্লাবাজার এ মাছ কিকতে আসা গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী  ও ফরিদ মিয়া সহ কয়েকজন ক্রেতার সাথে  আলাপকালে জানান বাজারে মাছ নেই বললেই চলে আর যাও পাওয়া যায় তা আবার আকাশচুম্বী। অন্য সময়ে যে মাছ বিক্রি হতো ২ শত টাকা কেজি দরে এখন তা ৭ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।তার পরও পাওয়া যাচ্ছেনা।কোন কোন মাছ না পেয়ে শুন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে।

উপজেলা মৎস্য দপ্তর থেকে জানা যায় লাখাই উপজেলা হাওরাঞ্চলে পরিবেশ গত কারণে প্লাবন ভুমিতে মাছের প্রজনন কম হওয়ায় মাছের সরবরাহ কমে গেছে। হাওরের পানি দূর্গন্ধযুক্ত শিল্প বর্জের দূষণের কারণে মাছের ডিম ফুটতে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ায় লাখাইয়ে প্রাকৃতিক মাছের উৎপাদন দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।

সূত্রে আরোও জানা যায় বেশী মুনাফা পাওয়ার জন্য মৎস্য চাষীরা  তাদের চাষের মাছ উপজেলার বাহিরে নিয়ে যায়। এতে উপজেলার হাটবাজার গুলোতে মাছের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য দপ্তরের  কর্মকর্তা আবু ইউসুফ এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান হাওরে পরিবেশগত কারণে, নদনদী গুলো শিল্পবর্জের কবলে পড়ায় হাওরের পানিতে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এমন পানিতে মাছের ডিম থেকে পোনা জাতীয় মাছ উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে তাই মাছ পাওয়া যাচ্ছেনা।আর চাষের ক্ষেত্রে চাষীরা বেশী মুনাফা পাওয়ার জন্য স্থানীয় হাটবাজার এ বিক্রি না করে উপজেলার বাহিরে নিয়ে যায়। এতে মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ বিষয়ে করণীয় কি জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে মাছ চাষীদের সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পোনামাছ নিধন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান জনবল সংকটে ও সময়ের অভাবে অভিযান চালানো বিলম্বিত হচ্ছে তবে শীঘ্রই পোনামাছ নিধন ঠেকাতে অভিযান চালানো হবে।

আপনার মতামত লিখুন :