২২ কোটি টাকার চাল আত্মসাৎ মামলার আসামীরা অধরা

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:৩৬ PM, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

Spread the love

গাইবান্ধা প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রায় ২২ কোটি টাকার চাল আত্মসাতের মামলায় আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও আদালতের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করেননি তারা। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তারও করছে না।

উপজেলায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দুই হাজার ২৫৩টি ধর্মীয় সভার নামে পাঁচ হাজার ৮২৩ টন চাল বরাদ্দ আসে। কিন্তু তৎকালীন সাংসদ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদের যোগসাজশে সংশ্নিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর কাউন্সিলর এই চাল আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় গত বছরের ২৬ আগস্ট ১৬ ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৯ জনের নামে মামলা করে দুদক। রংপুরে দুদকের সহকারী পরিচালক হোসাইন শরীফ মামলাটি করেন।

মামলার ১৯ আসামির মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছাড়া অন্যরা গত ২৭ সেপ্টেম্ব উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে উচ্চ আদালত গাইবান্ধা সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে আসামিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা আজও আত্মসমর্পণ করেননি।

এদিকে, যার ডিও লেটারে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়, তিনি অধরাই রয়ে গেছেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এই চাল বরাদ্দের ডিও লেটার দেন।

মহিমাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান বলেন, সে সময় আবুল কালাম আজাদ এমপি ছিলেন। তার ডিও লেটারে চাল বরাদ্দ দিয়েছেন এবং চাল সঠিকভাবে বিতরণ হয়েছে মর্মে তিনিই প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন।

সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ধর্মীয় সভার নামে যে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়, তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তারা আমার ডিও লেটার জাল করেছেন। প্রত্যয়নে আমার দাপ্তরিক স্মারক নম্বরও ছিল না।

মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা হোসাইন শরীফ বলেন, চাল আত্মসাতে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কমিশন চাইলেই তাদের গ্রেফতার করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :