২০ বছর করে কারাদন্ড পাপিয়া ও তার স্বামীর

নরসিংদীর বহিষ্কৃত জেলা যুব মহিলালীগ নেত্রী পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে অস্ত্র আইন মামলায় ২০ বছর করে কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার এক নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ ১২ অক্টোবর সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে দু’জনকে ২০ বছর করে এবং অবৈধভাবে গুলি রাখার দায়ে দুজনকে ৭ বছর করে কারাদন্ড দেওয়া হয়। পাপিয়া ও তার স্বামীর দুই ধারার সাজা একসঙ্গে কার্যকর করা হলে ২০ করে সাজা খাটতে হবে। এসময় পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুরকে কারাগার থেকে আদালতে নেওয়া হয়।
এরআগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদন্ড দাবি করেন ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌসুলি আবদুল্লা আবু ও অতিরিক্ত পিপি সাজ্জাদুল হক।
র‌্যাব পাপিয়াকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুই সহযোগীসহ তার স্বামী মফিজুর রহমানকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে।
র‌্যাব পাপিয়ার নরসিংদীর বাড়িতেও অভিযান চালায়। র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেল ভাড়া করে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যা আয় করতেন, তা থেকেই হোটেলের কোটি টাকার উপরে বিল দিতেন।
পাপিয়াকে গ্রেপ্তারের পর তার স্বামীর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় ১টি, শেরে বাংলা নগর থানায় ১টি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আর ১টি মামলা করা হয়।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪- এর অধীনে আরও একটি মামলা করা হয়। এরপর মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে সিআইডির পক্ষ থেকেও আরও একটি মামলা করা হয়। অপর দিকে দুদকও পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের খোঁজ করতে থাকে।
র‌্যাব এরই মাঝে গত ২৯ জুন আদালতে শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র ও মাদক আইনের করা মামলার অভিযোগপত্র দেয়। গত ২৩ আগস্ট অস্ত্র মামলায় ঢাকা মহানগরের এক নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক পাপিয়া ও মফিজুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।