স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভূয়া নিয়োগপত্র হাতে ধরিয়ে দিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১৫ লক্ষাধিক টাকা। এ ঘটনায় অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারক মোখলেছুর রহমান রফিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৩। মোখলেছুর রহমান রফিক (৪৬) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের দিঘলী গ্রামের আঃ আজিজের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরের বুজরুক বোয়ালিয়া মাষ্টারপাড়া গ্রামের উজ্জল চাকীর স্ত্রী শম্পা রানী চাকী (৩২) গাইবান্ধার পরশ এনজিও প্রকল্পের আওতায় গোবিন্দগঞ্জ থানা এলাকায় কাজ করতেন। এরই সুবাদে আসামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উপজেলার বালুয়া বাজারে ডাচ-বাংলা এজেন্ট মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অর্থ লেনদেন করতে গিয়ে প্রায় তিন বছর আগে পরিচয় হয় শম্পা রানীর। স্বরাষ্ট্রমণালয়ের তার নিকটতম আত্মীয় সচিব পদে চাকরি করেন।
এরই একপর্যায়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী শূণ্য পদে লোক নিয়োগ নেবে বলে জানায় আসামী মোখলেছুর রহমান রফিক। ওই পদে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলে জানান তিনি। এরপর সরল বিশ্বাসে শম্পা রানীর কাছ থেকে প্রথমে ১৩ লাখ এবং পরর্তীতে আরো দুই লক্ষাধিক টাকা নেয় মোখলেছুর রহমান রফিক।
একপর্যায়ে শম্পা রানী চাকীকে চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. ফিরোজ উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক ভূয়া নিয়োগপত্র দেন মোখলেছুর রহমান রফিক।
গত ১২ মার্চ চাকরিতে যোগদান করতে যান শম্পা রানী। এসময় তার নিয়োগপত্রটি ভূয়া বলে জানানো হয়। বিষয়টি নিয়ে মোখলেছুর রহমান রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে শম্পা রানীর পরিবারের লোকজন। সালিশ বৈঠকের একপর্যায়ে ২ লাখ টাকা ফেরত দেয় সে। এরপর বাকী টাকা ফেরত দিবে বলে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে মোখলেছুর রহমান রফিক।
দীর্ঘদিন ঘুরে-ফিরে টাকা উদ্ধার করতে না পেরে গত ভুক্তভোগির ভাই গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের উল্লা সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা মুকুল চন্দ্র দেব গত ১১ আগষ্ট বাদী হয়ে মোখলেছুর রহমান রফিকসহ দু’জনের নামে গাইবান্ধা র্যাব অফিসে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে ওইদিন বালুয়া বাজার আসামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে মোখলেছুর রহমান রফিককে আটক করে র্যাব। পরবর্তীতে মোখলেছুর রহমান রফিককে সাঘাটা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর সাঘাটা থানায় প্রতারণার অভিযোগে ০৮/২২ নং মামলা দায়েরের পর আসামীকে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
গাইবান্ধা র্যাব ১৩- এর কোম্পানি কমান্ডার আসিফ উদ-দৌলা জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মোখলেছুর রহমান রফিককে আটকের পর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রতারণার বিষয়ে তদন্ত চলছে। চক্রটি আরো কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে এভাবেই প্রতারণা করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

