সাদুল্যাপুরের নবএমপিওভূক্ত কুঞ্জ মহিপুর দ্বি-মূখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি শুধুমাত্র কাগজে-কলমেই পরিচালিত
শাহারুল ইসলাম, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
সাদুল্লাপুরের নবএমপিওভুক্ত কুঞ্জ মহিপুর দ্বি-মূখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই-চার জন শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত থাকলেও শিক্ষার্থী উপস্থিতি শূন্য। অফিসের কর্মকান্ড নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
সম্প্রতি একাধিক দিন ওই বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে দুই-চার জন শিক্ষক-কমচারীকে উপস্থিত পাওয়া গেলেও কোন শিক্ষার্থী উপস্থিত পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানান, বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের সাথে গোপন চুক্তির ভিত্তিতে সেই সকল শিক্ষার্থী দিয়েই প্রতি বছর এস.এস.সি পরীক্ষা পরিচালনা করে থাকে বিদ্যালয়টি। অফিসকে ম্যানেজ করে শুধুমাত্র কাগজে-কলমে বাস্তবায়ন হয়ে আসছে বিদ্যালয়টি।
বিদ্যালয় পাশবর্তী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে কোনদিনই শিক্ষার্থী আসতে দেখা যায়না। শুধু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দুই-চার জন শিক্ষক-কর্মচারীকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
ইতিপূর্বে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উপস্থিতি শূন্য সংক্রান্ত খবর জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা সহ সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে প্রধান শিক্ষক পত্রিকায় প্রতিবাদ দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ রহস্যজনক কারণে অদ্যবধি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উপস্থিত শিক্ষক সূত্রে জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ে ১৪ জন শিক্ষক ও ৪ জন কর্মচারী রয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি নবএমপিওভূক্ত হয়েছে।
ওই বিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির আওতায় রয়েছে সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাবুবুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, কাগজপত্র না দেখে আমি কোন কিছু বলতে পারবনা।
তিনি সাংবাদিককে বলেন, আপনারা লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। আমি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এলাকার সচেতন মহল সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

