সংখ্যালঘুদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও আইনগত নিরাপত্তার দাবীতে গোবিন্দগঞ্জে গণসমাবেশ

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৫:৩৮ PM, ২৩ অক্টোবর ২০২১

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সংখ্যালঘুদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও আইনগত নিরাপত্তার দাবীতে আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে বিক্ষোভ ও গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের কাটামোড় নামকস্থানে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদ গাইবান্ধা জেলা শাখার আহবায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ জেলা শাখার সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর করীর তনু, জনউদ্যোগ গাইবান্ধা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদ গাইবান্ধা জেলা সদর শাখার আহবায়ক অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী মুসা, গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মো. আলী, মানবাধিকার কর্মী সহিদা আক্তার, সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা হাজি নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মাস্টার, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদ গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক ও সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন শেখ, প্রিসিলা মুরমু, ভূমি পুনরুদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুফল হেমব্রম, সদস্য ময়নুল ইসলাম ও সাঁওতাল হত্যা মামলার বাদী থোমাস হেমব্রম প্রমুখ।

এর আগে সাঁওতালপল্লী মাদারপুর, জয়পুরপাড়া, সাহেবগঞ্জ, মেরী, চক রহিমাপুর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সহ¯্রাধিক নারী-পুরুষ পতাকা, ব্যানার, ফেন্টুন হাতে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মানববন্ধনে অংশ নেন।

বক্তারা বলেন, সব ধর্মেই বলা হয়েছে মানবতার কথা। মানবতা সব ধর্মের উর্দ্ধে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর ঘটে যাওয়া নানা অপ্রীতিকর ঘটনা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন স্বাধীন দেশে এমন ঘটনা করো কাম্য নয়। এসময় তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সকারের প্রতি আহবান জানান। পাশাপাশি ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর গোবিন্দগঞ্জে তিন সাঁওতালকে গুলি করে হত্যা এবং সাঁওতালপল্লীতে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকার নিয়ে নানা সমালোচনা করেন তারা।

আগামী ৬ নভেম্বর সাঁওতাল হত্যা দিবস পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বক্তারা।

বক্তারা গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতালদের জমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করে তাদেরকে সুরক্ষা দেওয়া এবং তিন ফসলি জমিতে ইপিজেড নির্মাণ বন্ধের পাশাপাশি তিন সাঁওতাল হত্যা, বসতবাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, লুটপাট ও জমি ফেরত সহ সাতদফা দাবী বাস্তবায়নের আহবান জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর পুলিশ সঙ্গে নিয়ে চিনিকল কর্তৃপক্ষ সাহেবগঞ্জ ইক্ষুখামারে আখ কাটতে গেলে সাঁওতালরা বাপ-দাদার জমি দাবী করে বাঁধা দেয়। এসময় পুলিশ শ্যামল হেমব্রম, রমেশ টুডু ও মঙ্গল মার্ডি নামে তিন সাঁওতালকে গুলি করে হত্যা করে। এতে আহত হন অন্তত ৩০জন। এরপর সাঁওতালদের উচ্ছেদের নামে  আগুন লাগিয়ে বসতবাড়ি পুুুড়ে দেওয়া হয়।

আপনার মতামত লিখুন :