শিমুল হত্যা; প্রধান আসামী চেয়ারম্যানের করোনা নাটক

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৬:৩১ PM, ২৫ ডিসেম্বর ২০২০

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

শিমুল হত্যা মামলা প্রধান আসামী বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম করেনাভাইরাসে আক্রান্ত না হয়েও ‘করোনা নাটক’ সাজিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তিও ছিলেন তিনি।

চেয়ারম্যানের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ। কিন্তু মহিদুল করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। গত ২২ ডিসেম্বর শজিমেক হাসপাতলের রিপোর্টে তার করোনা ‘নেগেটিভ’ আসে।

আসামী মহিদুল বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।

নিহত শিমুল বিহার ইউনিয়নের মোন্নাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আফজাল হোসেনের ছেলে। শিমুলের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে বলে জানান শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হরিদাস মণ্ডল।

গত ২১ ডিসেম্বর শিমুল বগুড়ার আদালতে মামলার হাজিরা দিতে যান। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে তাকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা।

ওই দিন সন্ধ্যায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলীপুর এলাকায় রাস্তার পাশে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিমুলকে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পথচারীরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ফুলপুকুরিয়া বাজার থেকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

এ ঘটনায় ওই রাতেই শিমুলের ভাই ইউপি সদস্য রায়হান গোবিন্দগঞ্জ থানায় ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুলকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার মহিদুলকে গ্রেফতারের দাবিতে শিবগঞ্জের বিহার বন্দরে শতাধিক মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন ও চেয়ারম্যানের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।

জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসান বলেন, মামলাটি পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শিমুলের ভাই রায়হান বলেন, চেয়ারম্যান মহিদুল তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। চেয়ারম্যান তার অবৈধ কাজকর্ম করার জন্যে শিমুলকে দলে নিতে ব্যর্থ হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, হত্যার দায় থেকে বাঁচতে করোনা আক্রান্তের নাটক সাজিয়েছেন মহিদুল।

শজিমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, করোনা আক্রান্ত না হয়েও করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা যায়। তার করোনা উপসর্গ ছিল। এ কারণে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার করোনা ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট আসলেও তিনি করোনা আক্রান্ত না, একথা বলা যাবে না। কারণ করোনা ‘নেগেটিভ’ মানে করোনা আক্রান্ত না, এমন কিছু না।

তিনি বলেন, এর বেশিকিছু জানতে চাইলে আপনাকে লিখিত আবেদন করতে হবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাইবান্ধার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ইন্সপেক্টর আব্দুস সবুর জানান, মামলার তদন্ত চলছে, আমরা একটি ভিডিও ফুটেজও পেয়েছি। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এখনি এর চাইতে বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।

আপনার মতামত লিখুন :