শরণখোলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪২

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:২১ PM, ১৯ মার্চ ২০২১

Spread the love

এ এইচ নান্টু, বাগেরহাট প্রতিনিধি;

বাগেরহাটের শরণখোলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নারীসহ কমপক্ষে ৪২ জন আহত হয়েছেন।

জানা যায়, শুক্রবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনের সভায় হামলা চালান বর্তমান ইউপি সদস্য ডালিমের সমর্থকরা। এতে ৪ নারীসহ ২২ জন আহত হন।

আহতদের শরণখোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরণখোলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান।

সদস্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি আমার সমর্থকদের নিয়ে উত্তর সোনাতলা গ্রামের আনোয়ারের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। এমন সময় ডালিম মেম্বারের নেতৃত্বে অন্তত ৪০ জনের একটি বাহিনী লাঠি নিয়ে আমার লোকজনের ওপর হামলা করে।

জাহাঙ্গীরের অভিযোগ অস্বীকার করে বর্তমান ইউপি সদস্য ডালিম বলেন, সদস্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেনের লোকজন বিনা কারণে আমার লোকদের ওপর হামলা করে। এতে আমার অন্তত ৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।

এর আগেও আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন আমাকে হুমকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি থানায়ও অভিযোগ দিয়েছি।

ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম হালিম বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আল আমিন খান ও তার ভাই বেল্লাল খানের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে এসে বাড়িতে ঢুকে আমার লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে ৮ নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

হালিমের অভিযোগ অস্বীকার করে আল আমিন খান বলেন, আমি মিছিল নিয়ে হালিমের বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে তার কিছু নারী সমর্থক পেছন দিক থেকে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমার অন্তত ৫ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।

শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রিয় গোপাল বলেন, সকাল থেকেও ধাপে ধাপে হাসপাতালে মারামারির ঘটনায় আহতরা এসেছেন। এদের মধ্যে আমরা ২৩ জনকে ভর্তি করেছি। ৩ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া জরুরি বিভাগে ৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।

শরণখোলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।

আপনার মতামত লিখুন :