লাখাইয়ে পুলিশ এ্যাসল্ট মামলায় পুরুষ শূন্য লক্ষীপুর
লাখাই (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি;
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে পুলিশ এ্যাসল্ট মামলায় পুরুষ শূন্য লক্ষীপুর গ্রাম।
গতকাল বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে মোড়াকরি ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ বাড়ীতে পুরুষহীন বাড়ী ঘর। সাবেক মেম্বার মজিবুরেরে দলের মৃত ছফিল মিয়ার ছেলে আবুল কাশেমের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় তার বাড়ী ঘর অপর পক্ষ বর্তমান মেম্বার হিরাই মিয়ার লোকজন দ্বারা ভাঙচুরের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়।
বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করতেই বেড়িয়ে আসে বেশ কয়েকজন মহিলা, তারা এ প্রতিনিধিকে জানান নুরুজ্জামানের স্ত্রী রানু বেগম ও মৃত ঝাড়ু মিয়ার স্ত্রী গোলবাহার তাদের ভাষায় বলে হিরা মিয়ার লোকজনে আমরার বাড়ী ঘড় দা দিয়া, পিকল দিয়া কুবাইয়া পাড়াইয়া অনেক টাকার ক্ষতি কইরা লাইছে। আমরা হুনছি পুলিশ বাদী অইয়া মামলা করছে এর লাইগা আমরার মানুষ বাইত না।
উল্লেখ্য গত ২৫ মার্চ দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটের সময় লক্ষীপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার মজিবুর রহমান ও বর্তমান মেম্বার হিরাই মিয়ার মধ্যে আধিপত্য ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে তিন দফায় সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছিল। এর যের ধরে ২৫ মার্চ উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাঁধলে লাখাই থানার পুলিশ সংবাদ পেয়ে এক দল পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করলে পুলিশ সহ উভয় পক্ষের মাঝে ৩০ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ এস আই দেবাশিষ তালুকদার, এস আই শৈলেশ চন্দ্র দাস, কনষ্টেবল তৌহিদ, ও কনষ্টেবল মোশারফ আহত হয়। আহতদের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁদেরকে চিকিৎসা সেবা দেন।
এ ঘটনায় লাখাই থানার এস আই সাদরুল হাসান খান বাদী হয়ে ৬০ জনের নাম উল্লেখ করে আরে ১৫০- ২০০ জন অজ্ঞাত উল্লেখ করে মামলা দায়ের। এর পর থেকেই লক্ষীপুর গ্রামের উভয় পক্ষের লোকজন গ্রাম ছাড়া।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই দেবাশিষ তালুকদারের সাথে আলাপকালে তিনি জানান আসামীদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুনু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমার পুলিশ বাহিনী আসামী ধরার জন্য অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আসামীদের বাড়ী বি-বাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর থানার সীমান্তবর্তি হওয়ায় পুলিশের আগমন টের পেয়ে ঐ এলাকায় চলে যায় যে কারনে আসামীদের ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে তবে আমাদের চেষ্টার কোন প্রকার ত্রুটি নেই।
তিনি আরো বলেন ২৫ শে মার্চের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের গঠনার পর থেকে আর কোন ঘঠনা ঘটেনি।

