লাখাইয়ে মৌসুমী সবজী চাষে লাভবান ফরিদ উদ্দীন
লাখাই (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি;
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার করাব ইউনিয়নের সিংহগ্রাম এর মৌসুমি শাকসবজি চাষে মডেল হিসাবে পরিচিত সিংহগ্রাম এর ফরিদ উদ্দিন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবত ধানসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের পাশাপাশি মৌসুমি শাকসবজি চাষ করে আসছেন। বছর জুড়ে তিনি ডাঁটা,পুঁইশাক, লালশাক, কচু,ঝিঙে, লাউ,কুমড়া,বাঁধা কপি,ফুলকপি এবং নানাবিধ ফলমূলের চাষ করেন এবং তা বাজারজাত করে আসছেন।
প্রতিবছরের ন্যায় চলতি মৌসুমে তিনি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর বাঁধা কপি, ফুলকপির প্রদর্শনী পেয়ে ৪০ শতাংশ জমিতে বাঁধা কপি, ফুলকপি চাষ করেছেন। ফরিদ উদ্দিন এর সাথে আলাপকালে জানা যায় তার এ পরিমাণ জমি আবাদ করতে জমি তৈরী,বীজ,সার,সেচ ও পরিচর্যা সমেত খরচ হয়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। ফলন ও হয়েছে বেশ ভালো। তবে লালশাক চাষ করার পর এ কপি চাষ কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় বাজার মূল্য কম।
ইতিমধ্যে প্রায় ২৫ হাজার টাকার কপি বিক্রি করতে পেরেছি। আমার আশাবাদী সর্বসাকুল্যে ৭০-৮০ হাজার টাকার সবজী বিক্রয় করতে পারব।মধ্যবিত্ত কৃষক ফরিদ উদ্দিন আরোও জানান আমার নিজস্ব জমিজমা যথেষ্ট এবং ধানসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ করে আসছি। তবে অন্য ফসলের তুলনায় সবজী চাষে আমি অনেক বেশী সফলতা পেয়েছি। এ সবজী চাষে আমি অর্থনৈতিক ভাবে মুনাফা হয়েছে বেশী। আমি বানিজ্যিকভাবে শাকসবজি চাষের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা পেয়েছি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর আওতায় পরিচালিত আই,এফ,এম,সি ক্লাবের মাধ্যমে। আমি প্রায় ১৫ বছর যাবত এ সবজি চাষে জড়িত।
এ দিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় চলতিবৎসর লাখাইয়ে শাকসবজি চাষ হয়েছে ১ হাজার ২২০ হেক্টর এর মধ্যে ফুলকপি / বাঁধা কপি চাষ হয়েছে ১ শত ২০ হেক্টর জমিতে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শাকিল খন্দকার জানান, লাখাইয়ে ধান চাষাবাদ এর পাশাপাশি মৌসুমি শাকসবজি চাষের ক্ষেত্রে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সার, বীজ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। এ উপজেলা কৃষি ক্ষেত্রে উদ্বৃত্তের একটি উপজেলা। আমরা চাই ধানের ন্যায় অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রেও একই পর্যায়ে পৌঁছাতে। এ লক্ষ্য নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে আসছি।

