রামপালে জমি নিয়ে বিরোধে মারপিট; থানায় মামলা দায়ের
এ এইচ নান্টু, বাগেরহাট প্রতিনিধি;
বাগেরহাটের রামপালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শিক্ষকসহ পরিবারের ৩ সদস্যকে মারপিট করে আটকে রাখা হয়। আটক ভিকটিম ৯৯৯ এ ফোন করলে রামপাল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটকদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রামপাল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন শিক্ষক হাওলাদার জাকির হোসেন।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গিলাতলা গ্রামের হাওলাদার পাড়ার মৃত হাওলাদার ইউসুফ আলীর ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাওলাদার জাকির হোসেনের ভাইদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এরই জেরে তার আপন সহদর হাওলাদার শাকুর, হাওলাদার আজগর আলী, হাওলাদার আবুল কালাম ও হাওলাদার মিটুল এবং মহিতুন বেগম, ফাতেমা বেগমসহ ২০/২২ জন অজ্ঞাত লোকজন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় হাওলাদার পাড়া সাকিন্থ নিজ বাড়িতে গিয়ে হামলা করে। এ সময় উক্ত ব্যক্তিরা মারপিট করে শিক্ষক জাকির হোসেনর ছেলে ইশতিয়াক হোসেনকে মারপিট করেগুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় একই দিন প্রতিকার চেয়ে রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিলে প্রতিপক্ষরা ক্ষিপ্ত হয়ে একই দিন রাত ১০ টায় আবারও চড়াও হয়ে বাড়িতে হামলা করে। তাদের হাত থেকে বাঁচার জন্য বসতঘরের দরজা আটকে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করেন ভুক্তভোগীরা। এ সময় ওই ব্যক্তিরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে শিক্ষক জাকিরকে ধরে এনে খেজুর গাছের সাথে বেধে রেখে মারপিট করে ও ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার, দলিলপত্র, একটি মোবাইল ফোন হাসাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে ও স্কুলের মূল্যবান কাগজপত্রসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাঁধা দিলে জীবনে শেষ করে দেয়ার হুমকিসহ তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানি ঘটায়। পরে শিক্ষক জাকিরকে পার্শ্ববর্তী মোতালেব হোসেনের বিল্ডিংয়ের মধ্যে আটকে রেখে বাহির থেকে তালা লাগিয় দেয়। তার স্ত্রীর সহায়তায় কৌশলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে রামপাল থানা পুলিশ ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে। অভিযোগের ব্যাপারে প্রতিপক্ষ হাওলাদার শাকুর গংদের সাথে কথা বলার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে রামপাল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভুক্তভোগীরা মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
