রাত পোহালেই পলাশবাড়ীতে নবগঠিত পৌরসভার ভোট
শাহারুল ইসলাম,পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
রাত পোহালেই গাইবান্ধার পলাশবাড়ী নবগঠিত পৌরসভার ভোট। জনগণের ভোট প্রদানের মধ্য দিয়ে পৌর মেয়র নির্বাচিত হবেন। নির্বাচিত হবেন ৯জন কাউন্সিলরও। ইতোমধ্যেই প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করতে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা দিনভর প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারিকেল গাছ মার্কার প্রার্থী জনগণের বেশ সাড়া পেয়েছেন। নৌকা ও ধানের শীষ মার্কার প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরাও তাদের নির্বাচনী মাঠ চাঙ্গা করতে জোর প্রচারণা চালিয়েছেন।
আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীরা জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বাস্তবতার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির জন্য এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বেড়েছে। পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে বিপুল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে।
নির্বাচনে নৌকার কান্ডারী আবু বকর প্রধান নির্বাচিত হলে পলাশবাড়ীর নৌকার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যাবে বলে নেতা-কর্মীরা মনে করছেন। আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব তা ইতিপূর্বে প্রমাণ হয়েছে আবারও প্রমাণ হবে। আওয়ামী লীগ হেরে গেলেও বলতে পারবে ক্ষমতাসীন সরকার কোন দলীয় প্রভাব খাটাননি। শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
আবু বকর দিন-রাত পৌরসভার এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে ভোটারদের কাছে ছুটে চলেছেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুরুতে নৌকার অবস্থান কিছুটা খারাপ ছিল। কিন্তু কয়েকদিনে নৌকার অবস্থান সুসংহত হয়েছে। আবু বকর প্রধান বলেন, আশা করি ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। নৌকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মার্কা। নৌকা বঙ্গবন্ধুর মার্কা। বিপুল ভোটে নৌকা মার্কা জয়লাভ করবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, জাতীয় পার্টির ইমেজ পুনরুদ্ধারে এই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তারা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার প্রধান বিপ্লব তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রচার চালিয়েছেন। বিপ্লব তার জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, নারিকেল গাছ প্রতীকের পক্ষে আমি গণমানুষের জোয়ার ও স্বতঃস্ফুত সমর্থন দেখতে পেয়েছি। অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আমি।
অপরদিকে, একটানা ১৮ বছরের সদরের ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ইসলাম প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থী তার দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যানের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চান। জনসমর্থন ও প্রচারে তার অবস্থানও ভালো।
বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চেয়েছেন। শরিক দল জামায়াতের ভোট শতভাগ নিজেদের পক্ষে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন, মহিলা সংরক্ষিত আসনে ৮ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌর এলাকার ২৪টি গ্রাম নিয়ে ৯টি ওয়ার্ডে মোট নারী-পুরুষ ভোটার রয়েছে ৩১৬০২ জন।

