যমজ ভাইয়ের সঙ্গে যমজ বোনের বিয়ে দেখতে মানুষের ভিড়
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি;
পাবনার ঈশ্বরদীতে যমজ দুই ভাইয়ের সঙ্গে যমজ বোনের বিয়ে নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের দরিনারিচা এলাকায় কনের বাড়িতে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। এলাকার বহু মানুষ এসেছেন যমজ বর-কনেদের একসঙ্গে দেখতে। অনেকে বিয়ের আসরে যমজ বর ও যমজ কনের সঙ্গে সেলফিও তুলছেন।
যমজ বোন সাদিয়া খানম ও নাদিয়া খানমের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে যমজ ভাই সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদের। সাদিয়া ও নাদিয়া শহরের দরিনারিচা এলাকার কুদ্দুস আলীর মেয়ে। আর সেলিম মাহমুদ ও সুলতান মাহমুদ নওগাঁর মহাদেবপুরের সাফাপুর ইউনিয়নের কচুপুড়ি গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
সরেজমিন বিয়েবাড়িতে দেখা যায়, যমজ বোনকে বিয়ে করতে বর বেশে এসেছেন যমজ ভাই। এ বিয়ে দেখতে নেমেছে মানুষের ঢল। আমন্ত্রিত অতিথি ছাড়াও শুধু তাদের একনজর দেখতেই দলে দলে এসেছেন এলাকার মানুষ। কনের বাড়ি ঈশ্বরদীতে অনুষ্ঠিত হয় বরযাত্রী বরণ ও বিয়ে নিবন্ধনের কাজ। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজন করা হয় দুই কনের গায়েহলুদের আয়োজন। বিয়ের দিনগুলোকে প্রাণবন্ত করতে ওই রাতে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও।
কনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কনের বাবা কুদ্দুস আলী ও মা শিল্পী খাতুনের ইচ্ছে ছিল যমজ মেয়েদের একসঙ্গে, এক অনুষ্ঠানে বিয়ে দেবেন। কিন্তু একসঙ্গে যমজ ছেলে পেয়ে যাবেন, তেমনটাও তিনি ভাবেননি। এমন বর পাওয়ায় তারা অনেক খুশি।
যমজ বর বাছাইয়ের বিষয়ে কনের বাবা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, সম্প্রতি তার কাপড়ের দোকানে একজন ক্রেতা আসেন। এ সময় যমজ বোনকে দেখে তার ভীষণ পছন্দ হয়। পরে ওই ক্রেতার মাধ্যমে যমজ পাত্রের সন্ধান পান তিনি। খোঁজখবর নিয়ে পাত্রের পরিবারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়। একপর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিয়ের তারিখ ঠিক হয়।
বরের বাবা সেকেন্দার আলীর বরাত দিয়ে বর পক্ষ বলছে, বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পরপরই পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলেন বরের বাবা। ছেলেদের মা সম্মতি দেওয়ায় তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। ছেলেদের মা সম্মতি দেওয়ায় তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য দুই ছেলেকে জানান। পরে তাদের সম্মতি পেয়ে বিয়ে সম্পন্নের কথা কনের বাবাকে জানিয়ে দেন। এরপর উভয় পক্ষের আলোচনা সাপেক্ষে বিয়ের দিনক্ষণ ও অন্য বিষয়ে নির্ধারণ করা হয়।

