মোল্লাহাটে ক্ষতিরোধে বর্ষাকালের আগেই মধুমতি নদী শাসন জরুরী

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০১:১১ PM, ০৬ জানুয়ারী ২০২১

Spread the love

এ এইচ নান্টু, বাগেরহাট প্রতিনিধি;

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে অসংখ্য কাঁচা-পাকা বাড়ি, সড়ক, বাজার, মসজিদ ও আবুল খায়ের সেতুসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষায় মধুমতি নদীর সংশ্লিষ্ট এলাকা স্থায়ী শাসন জরুরী প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এবিষয়ে জনপ্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, চাকুরীজীবী ও ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষেরা জানান, মধুমতি নদী ক্রমান্বয়ে গ্রাস করেছে মোল্লাহাট থানা, হাট-বাজার ও অসংখ্য বাড়ি-ঘরসহ মূল্যবান আরো অনেক সম্পদ। এখন ভাঙ্গনের উপক্রম হয়েছে খুলনা-মাওয়া মহা-সড়কে মধুমতি নদীতে নির্মিত আবুল খায়ের সেতু, ঐতিহ্যবাহী মোল্লাহাট বাজার/হাটের সর্বশেষ অবস্থান ও অসংখ্য
কাঁচা-পাকা বাড়ি-ঘর।

এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রকালে চাকুরীজীবী শেখ ফয়জুল করিম পিন্টু বলেন, অনেক পূর্বেই মধুমতি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে মোল্লাহাট থানা ও হাট। পরবর্তীতে স্থানান্তরিত হয়ে বর্তমান অবস্থানে আছে থানা ভবন ও বাজার। ক্রমান্বয়ে আবারও নদীর গর্ভে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রায় ২যুগ পূর্বে এ নদীর ওপর আওয়ামীলীগ সরকার নির্মাণ করে আবুল খায়ের সেতু। এ সেতুর দক্ষিন প্রান্তের শেষ খুটিও ছুয়েছে এবং মহাসড়কের অংশসহ এ সেতু নদী গর্ভে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তাদের বাড়ির প্রায় শতবছরের পুরোনো দালান আগামী বর্ষাকালেই হয়তো নদী গর্ভে বিলীন হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্বাস কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, যে বাড়ি থেকে তিনি মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন, সেই বাড়ির ব্যবহৃত অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে, বাড়ির মায়ায় এখনও এখানেই আছি, কারণ সরকার আমাকে বীর নিবাস/পাকা ঘর দিয়েছে, যা এখানেই অবস্থিত, আমি এর মায়া ত্যাগ করতে পারছিনা, অথচ আমার মায়ার এ বীর নিবাস আর হয়তো রক্ষা হবে না। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে যদি নদী শাসন করা যায় তা হলেই কেবল রক্ষা পাবে।

এ সমস্যা দ্রুত সমাধানে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্থক্ষেপ প্রার্থনা করছেন তারা।

উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুল আলম ছানা বলেন, আমাদের
প্রচেস্টায় জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি’র হস্থক্ষেপে গত
বর্ষাকালে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে, যে কারণে বড় ধরণের ভাঙ্গন বা ক্ষতি হয় নাই। এছাড়া দ্রুত স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফ্ফারা তাসনীন বলেন, গত বর্ষা মৌসুমে অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ ওই এলাকা পরিদর্শন করি এবং শেখ হেলাল উদ্দীন এমপির হস্থক্ষেপে সংশ্লিষ্ট বিভাগ (পাউবো) জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলেন। ফলে তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগে ভাঙ্গন অনেকটা রোধ হলেও ভবিষ্যৎ ঝুকি রয়েছে। সে কারণে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের লক্ষে সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরী হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা বিভাগীয় প্রকৌশলী ও বাগেরহাট নির্বাহী প্রকৌশলী (অঃ দাঃ) মো. আশ্রাফুল আলম বলেন, উক্ত ভাঙ্গন রোধে মধুমতি নদীর সংশ্লিষ্ট ৩.৪ কিঃমিঃ এলাকার স্থায়ী শাসন ব্যবস্থার পরিকল্পণা প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে কবে নাগাদ এ কার্যক্রম শুরু হবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।

আপনার মতামত লিখুন :