মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ পুলিশি হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধন

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:১৭ PM, ১৫ এপ্রিল ২০২১

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ পুলিশি হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে এলাকাবাসি। উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের চাঁপড়ীগঞ্জ ব্যাপারিপাড়া গ্রামীণ পাকা সড়কে এলাকাবাসির আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এলাকার শত শত নারী-পুরুষ এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন।

মোছাঃ আবেদা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, মো. জালাল মিয়া, আব্বাস আলী, আনছার আলী, মোছাঃ ভানু বেগম, সারওয়ার হোসেন, সোলায়মান ও আমিরুল ইসলামসহ আরও অনেকে। একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়ায় স্থানীয় সচেতন মহল সহ বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বক্তারা বলেন, শিরিন আক্তারের স্বামী রশিদুল ইসলাম সরকারি আবাসন অধিদপ্তরের সচিবালয়ে উচ্চমান সহকারী পদে চাকরী করে। আর শাকিরুল ইসলামের পরিবারের লোকজন দিন মজুর ও ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। শাকিরুল ইসলামের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে শিরিন আক্তার মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশি হয়রানী করে আসছে শাকিরুল ইসলামের পরিবারকে।

বক্তারা বলেন, মিথ্যা মামলায় গোবিন্দগঞ্জ থানার এস আই আরিফুল ইসলাম ১২ই এপ্রিল রাতে আসামীদের না পেয়ে শাকিরুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সামিউল ইসলামের ওপর নির্যাতন চালায়। শুধু তাই নয় নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য ভয়-ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে স্বীকারোক্তিও নেওয়া হয় সামিউলের কাছ থেকে। ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে গেলে সামিউল সহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে লাশ রাস্তায় ফেলে সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।

বক্তারা আরও বলেন, মারামারির ঘটনা না ঘটলেও শিরিন আক্তার মিথ্যা বক্তব্য উপস্থাপন করে গত ৫ই ফেব্রুয়ারী/২১ তার ভাই মেহেরুল ইসলাকে দিয়ে ১৬ নং মামলা ও গত ৯ই ফেব্রুয়ারী/২১ একই ঘটনা দেখিয়ে শিরিন আক্তার তার স্বামী রশিদুল ইসলামের বড় ভাই জহুরুল ইসলাম দুলাকে দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় আরেকটি ২৪ নং মামলা দায়ের করে। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে গত ১২ই এপ্রিল/২১ শিরিন আক্তার নিজে বাদী হয়ে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে গোবিন্দগঞ্জ থানায় ২৮ নং মামলা দায়ের করে। আমরা এই মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানী থেকে পরিত্রান পেতে মানবতার মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ প্রশাসনের উচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

উল্লেখ্য, উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের ব্যাপারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শাকিরুল ইসলাম দিংদের সাথে একই গ্রামের রশিদুল ইসলামের স্ত্রী শিরিন আক্তারের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলছিল। কামারদহ মৌজায় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৭০ শতক জমি শাকিরুল ইসলাম ও তার ভাইয়েরা চাষাবাদ করে ভোগদখল করে আসছিল। ওই জমি ক্রয়সূত্রে মালিকানা দাবী করে আসছিলেন একই গ্রামের শিরিনা বেগম। শিরিনা বেগম বিরোধপূর্ণ জমি দখল করতে না পেরে অপকৌশল চালিয়ে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় শিরিন আক্তার পুলিশ নিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে জমি দখলে মারামারির ঘটনা দেখিয়ে শিরিনা বেগম তার ভাই মেহেরুল ইসলামকে দিয়ে শাকিরুল ও তার ভাইদের নামে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। কয়েকদিন পর একই ঘটনা দেখিয়ে শিরিনা বেগম তার স্বামী রশিদুল ইসলামকে বড় ভাই জহুরুল ইসলাম দুলা মিয়াকে দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় তাদের নামে আরেকটি মামলা করেন।

এতেও ক্ষান্ত না হয়ে ব্যক্তি আক্রোশে গত ১২ই এপ্রিল/২১ ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ এনে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা করেন শিরিন আক্তার। ওই মামলায় আসামীদের ধরতে গিয়ে সোমবার ১২ই এপ্রিল রাতে আসামীদের না পেয়ে শাকিরুল ইসলামের স্কুল পড়–য়া ছেলে সামিউল ইসলামকে মারধর করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি একেএম মেহেদী হাসানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আপনার মতামত লিখুন :