মহেশখালীতে করোনা সচেতনতায় মাসব্যাপি মাইকিং ও পোস্টার বিতরণ অব্যাহত একলাবের
মোহাম্মদ শাহাবউদ্দীন, মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি;
কক্সবাজারের মহেশখালীতে ইউনিসেফ ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় একলাব মাসব্যাপি করোনা সচেতনতায় মাইকিং ও পোস্টার বিতরণ অব্যাহত রেখেছে একলাব।
৩১ অক্টোবর থেকে মাইকিং- এর পাশাপাশি প্রতিটি ইউনিয়নে ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে। বাসায় থাকুন, নিরাপদে থাকুন’ করোনা সংক্রমন প্রতিরোধ করুন”। বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত অন্তত ২০ সেকেন্ড ধুয়ে নিবেন। অপরিস্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করিবেন না। ঠান্ডা ও জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন। কেউ হাঁচি কাশি দিলে তার থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্বে থাকুন। সকল খাবার ভালোভাবে ধুয়ে রান্না করে খাবেন। ঘন ঘন পানি ও ফলের রস পান করুন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে যাবেন না। গণপরিবহন ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। অফিস আদালত, হাট বাজারে চলাচলে সাবধাণতা অবলম্বন করুন।
জনসমাগম যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজে সচেতন হই অন্যকে সচেতন করি। নিরাপদ জীবন গড়ে তুলি। করোনা ভাইরাস কোন আতঙ্ক নয়, সচেতনতায় প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়। এমন নানা শ্লোগান ও সচেতনতামূলক বাক্য দিয়ে জনসচেতনা সৃষ্টির জন্য ইউনিসেফ ও মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মাইকিং ও পোস্টার বিতরণ অব্যাহত রেখেছে একলাব। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪০দিন করোনা সচেতনতা মূলক প্রচারণা চলছিল।
প্রাণ ও প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ শাহাব উদ্দীন বলেন, মহেশখালীর জনগণকে সচেতন করতে ইউনিসেফ ও মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় একলাব প্রতিদিন ৩টি সিএনজি গাড়ী করে সচেতনতা মূলক প্রচার মাইকিং ও পোস্টার বিতরণ করার জন্য একলাবের ভূমিকা প্রশাংসানীয়। কারণ তারা মহেশখালীতে তথ্য ও মতামত কেন্দ্র করে প্রতিটি ইউনিয়নে ভলান্টিয়ার নিয়োগ করে দূর্গম এলাকায় বাড়ী বাড়ী গিয়ে করোনা বিষয়ক সচেতনতার পাশাপাশি সরকারী তথ্য সেবা জনগণের দাড়গোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।
একলাবের মহেশখালী তথ্য ও মতামত কেন্দ্রের (কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অফিসার) সিইও তারেকুল হাসান রাসেল জানান, মহেশখালীর মানুষকে সচেতন করতে ৩টি সিএনজি গাড়ী দিয়ে মাস ব্যাপী মাইকিং এর পাশাপাশি (১) পৌরসভাসহ ৮ ইউনিয়নে মোট ৯ জন ভলান্টিয়ার ও ৩ জন আইএসপি দিয়ে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এছাড়াও কক্সবাজার সদর, চকরিয়া পেকুয়া ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ৩০টি গাড়ী এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
একলাবের ইমার্জেন্সি রেসপন্স প্রোগ্রামের অপারেশন হেড মোঃ রাশিদুল হাসান রাশেদ বলেন, ইউনিসেফ ও মহেশখালী উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় একলাবের পক্ষ থেকে মাইকিং ও পোস্টার বিতরণ করা হয়। উক্ত প্রচারনায় প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হজার মানুষের কাছে করোনা বিষয়ক বার্তা পৌঁছানো গেছে বলে আশা প্রকাশ করেন। এর আগেও তিন দফা ৪০ দিন মত মাইকিং করা হয়।
একলাবারে নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারেকুল ইসলাম জানান, একলাব মানুষের অধিকারের কথা বলে। জনগণের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে। সব সময় জনগনের পাশে আছে থাকবে। মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করে। মহেশখালীসহ কক্সবাজারে ইউনিসেপের সহায়তায় সচেতনতা মুলক একলাব ব্যাপক কর্মসুচী হাতে নিয়েছে। যা চলমান থাকবে বলেও জানান।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুল রহমান বলেন, মানুষকে সচেতন করতে সরকারের পাশাপাশি ইউনিসেফ ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মহেশখালীতে সচেতনতা মূলক প্রচারণামূলক মাইকিং করায় একলাবকে ধন্যবাদ।

