বাহুবল হাসপাতালে নিম্নমুখী সেবায় বঞ্চিত নিরীহ মামুষেরা

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:৪৮ PM, ২৪ জুন ২০২৩

Spread the love

আজিজুল হক সানু,হবিগঞ্জ থেকে;

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার মান দিন দিন অবনতির দিকেই যাচ্ছে। আউটডোরেও মানসম্মত ঔষধ দেয়া হচ্ছে না।

আবাসিক রোগীদের ব্যাপারে চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলার অন্ত নেই। স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনরা থাকে অসহায়। তাদের একমাত্র চিন্তাই থাকে কিভাবে রোগী সুস্থ হয়ে উঠে।

এমতাবস্থায় স্বভাবতই ক্ষেত্র বিশেষ রোগী ও তাদের স্বজনরা চিকিৎসক বা নার্সদের স্মরণাপন্ন হন। এসময় চিকিৎসক নার্স তাদেরকে শান্তনা দূরের কথা ন্যূনতম সৌজন্যমূলক আচরণও করতে দেখা যায়নি। একাধিকবার বললেই ক্ষেপে উঠেন চিকিৎক ও নার্স। হাসপাতালে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকার বিভিন্ন জটিল ও কঠিন রোগের ঔষধ দিয়ে রাখছে। কিন্তু প্রায় রোগীই দামী ঔষধগুলো বাহির থেকে খরিদ করে নিয়ে আসতে হচ্ছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতারও চরম ঘাটতি রয়েছে। টয়লেটের মান খুবই খারাপ। প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধে নাক ঢেকে রাখতে হচ্ছে। স্বাভাবিক ডেলিভারীর ক্ষেত্রেও নেই মানসম্মত সেবা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কোন কোন ক্ষেত্রে ডেলিভারী করলেও দাবী করা হয় মোটা অংকের টাকা। সন্তোষজনক না হলে রোগীর স্বজনদেরকে ধমকাতেও দ্বিধা করেন না নার্সরা।

এছাড়া হাসপাতালের বিশাল পুকুরটি লিজ না দিয়ে কতিপয় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মাছ চাষ করে ভোগ করছে। এতে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কোন কোন রোগী ও তাদের স্বজনরা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে অনিয়ম অভিযোগ পেশ করলেই কর্মরত স্থানীয় প্রভাবশালী চিকিৎসক ও তাদের আত্মীয় স্বজনরা আরো বেশি মাত্রায় ক্ষেপে উঠেন রোগী ও সাংবাদিকদের প্রতি।

অনিয়ম প্রকাশ না করতে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে থাকেন। প্রথমে অনুরোধ, পরে হুমকি-ধমকিও দেয়া হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, প্রত্যেক চিকিৎসকেরই ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। অনেকেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অংশিদারও।

এসব ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের দয়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল কুমার দাশ বলেন- বাহুবল হাসপাতালে কোন অনিয়ম নেই।

আপনার মতামত লিখুন :