ফৌজদারি অপরাধ, পুলিশ দায় এড়ায় কিভাবে?
ডিবিসি প্রতিবেদক;
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বালু, মাটি পাচার নিয়ে প্রশাসনের এত লুকোচুরি কেন?
এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ অথচ পুলিশ এর দায় নেয়না, বালু মহাল আইন কি বলছে দেখুন…
১৫। (১) এই আইনের ধারা ৪ এ বর্ণিত কতিপয় ক্ষেত্রে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ সংক্রান্ত বিধানসহ অন্য কোন বিধান কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অমান্য করিলে বা এই আইন বা অন্য কোন বিধান লংঘন করিয়া অথবা বালু বা মাটি উত্তোলনের জন্য বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করিলে সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী ব্যক্তিবর্গ (এক্সিকিউটিভ বডি) বা তাহাদের সহায়তাকারী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ অনূর্ধ্ব ২(দুই) বৎসর কারাদন্ড বা সর্বনিম্ন ৫০(পঞ্চাশ) হাজার টাকা হইতে ১০ (দশ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
(২) এই আইনের অধীন অপরাধ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ভ্রাম্যমান আদালত বা বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার হইবে।
(৩) Code of Criminal Procedure, 1898 এ নির্ধারিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক অর্থদন্ড আরোপ সম্পর্কিত সীমাবদ্ধতা এই আইনের অধীন নির্ধারিত অর্থদন্ড আরোপে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা সীমিত করিবে না।
(৪) এই আইনের অধীন অপরাধ জামিনযোগ্য (Bailable), আমলযোগ্য (Cognizable) ও আপোষযোগ্য (Compoundable) হইবে।
(৫) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত রায় বা আদেশ দ্বারা কোন পক্ষ সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি উক্ত দন্ডাদেশ প্রদানের ৩০(ত্রিশ) দিনের মধ্যে আঞ্চলিক অধিক্ষেত্রের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট আপিল দায়ের করিতে পারিবেন এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রদত্ত দন্ডাদেশের বিরুদ্ধে ৬০(ষাট) দিনের মধ্যে স্থানীয় অধিক্ষেত্রের দায়রা জজের আদালতে আপিল দায়ের করিতে পারিবেন।

