ফুলকপি প্রতি কেজি ২ টাকা

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০২:৪৪ PM, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

Spread the love

স্টাফ রিপোর্টার;

বগুড়া জেলার সর্ববৃহৎ কাঁচা শাক-সবজির মহাস্থান হাট শীতকালীন সবজিতে ভরে উঠেছে। পুরো হাটজুড়ে সবুজ শাক সবজিতে ঠাসা।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ভালো দামের আশায় তাদের উৎপাদিত সবজি বিভিন্ন যানবাহনে এ হাটে আনেন। ক্রেতা বিক্রেতাদের ভিড়ও ছিল অনেক বেশি। কিন্তু হাটে কাঙ্ক্ষিত দাম না থাকায় শীতকালীন সবজির এ ভরা মৌসুমে কৃষকরা লোকসান গুনছেন। চাহিদার তুলনায় প্রচুর আমদানি, ক্রেতা সংকট ও মজুতের সুবিধা না থাকায় বাধ্য হয়ে টাটকা শাকসবজি কম দামে বিক্রি করছেন। এতে উৎপাদন খরচ না ওঠায় কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

মহাস্থান হাট ঘুরে দেখা গেছে, ফুল কপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা মণ (৪০ কেজি। এতে কেজি পড়ছে দুই টাকা করে), যা গত দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। মুলা ৪০০-৬০০ টাকা মণ, যা গত সপ্তাহে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে।’

পাতা কপি প্রতি পিস ৭ থেকে ১৫ টাকা। সিম প্রতি কেজি ১৬, করলা ৪০, পেঁয়াজ ৬০, পাতা পেঁয়াজ ৩০, মিষ্টি লাউ ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া হাটে নতুন আলুর আমদানি বাড়ায় দাম কমেছে। নতুন আলু জাতভেদে ৫০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকা। পাকা টমেটো ৭০, কাঁচা টমেটো ২০, কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা কেজি। ধনিয়া পাতা ২০ টাকা কমে ১০ টাকা আঁটি। পেঁয়াজের ফুলকা কেজি প্রতি ৫০ টাকা কমে ১০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা যায়।’

তবে রঙিলা জাতের বেগুনের দামে গত সপ্তাহের চেয়ে মণ প্রতি ২০০ টাকা বেড়ে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।

বগুড়া সদরের লাহিড়িপাড়ার আমিনুল ইসলাম, চন্ডিহারার আব্দুর রহমান, তেলিহারার ছালজার রহমান প্রমুখ কৃষক বলেন, ফুলকপি দুই সপ্তাহ আগে ১২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন। গত সপ্তাহে ছিল, ২৫০-৩০০ টাকা মণ। শুক্রবার ও শনিবার ওই ফুল কপি বিক্রি করেছেন, প্রতি মণ ৮০ থেকে ৯০ টাকায়।

কৃষকরা দাবি করেন, এ দরে বিক্রি করায় তাদের উৎপাদন, পরিবহন ও মজুরি খরচ উঠবে না।

মহাস্থান হাটের আড়তদার বিশাল ভান্ডারের মালিক তাহেরুল ইসলাম বলেন, এখানে ছোটবড় সবমিলিয়ে কমপক্ষে ৪০টি আড়ত আছে। এখন প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন মোকামে অন্তত ৪০ ট্রাক শাকসবজি যাচ্ছে। কিন্তু বাজারে আমদানি বেশি ও বাইরে থেকে বেপারি না আসায় প্রতিদিন সবজির দাম কমছে।

তিনি আরও বলেন, তারা কৃষকের কষ্টের কথা চিন্তা করে ঝুঁকি নিয়ে কাঁচামাল কিনছেন। এতে কৃষকরা ও ব্যবসায়ী উভয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এদিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ১৭টি হিমাগারে এখনও বিপুল পরিমাণ আলু পড়ে রয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর আলু উত্তোলনের শেষ দিন থাকলেও দাম না থাকায় কৃষকরা তাদের আলু সংগ্রহ করেননি।

বগিলাগাড়ী নিউ কাফেলা কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক মিলটন জানান, নির্ধারিত ১৫ নভেম্বর আলু উত্তোলনের শেষ দিন ধার্য থাকলেও কৃষকদের সুবিধার্থে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। আলু উত্তোলনের জন্য মাইকিং করা হলেও কাজ হয়নি। এখানে তার স্টোরে প্রায় ৯ হাজার বস্তা আলু পড়ে আছে। উৎপাদন বেশি, চাহিদা কম ও বাজার দর কম হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থা অন্য হিমাগারেও।

আপনার মতামত লিখুন :