পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিজয় হবে উন্নয়নের বিজয়
আহাম্মদ আলী, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি;
আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেছেন, পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার এই বিজয় হবে উন্নয়নের বিজয়। দীর্ঘদিন পৌর এলাকায় যেই উন্নয়ন বাঁধা পড়ে আছে। নৌকার বিজয়ের মাধ্যমে সেই উন্নয়ন হবে আপনাদের। আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায় বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিহিত রয়েছে। ১৯৭০ সালে সাধারন নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের পর আপনারা পেয়েছেন একটি স্বাধীন দেশ। নৌকায় যখন ভোট দিয়েছেন, আপনারা অনেক কিছু পেয়েছেন। সাড়ে তিন বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় থেকে বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান।
১৯৭৫ সালে ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতা বিরোধী শক্ররা বঙ্গবন্ধুসহ সপরিবারকে হত্যার পর দেশের উন্নয়নে ভাটা পড়ে যায়। দীর্ঘ ২১ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতার বাইরে ছিলেন। এর মধ্যে যারা দেশ চালিয়েছেন তারা নিজেদের আখের গোছানোতে ব্যস্ত থাকায় দেশের কোনো উন্নয়ন হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ও সাবেক প্রতিমন্ত্রীর একটানা ১২ বছর পূর্তি এবং মুজিব শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বুধবার বিকেলে চৌড়া নয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পৌর ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে নৌকার বিজয়ের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। সেই সময় বিভিন্ন ভাতা চালু করে জনগণকে তিনি সম্মানিত করেছেন। জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে যা কিছু দিয়েছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা দিয়েছেন। অন্য কোনো দল দিতে পারেনি। উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এলাকার জনসাধারণের তিনি বলেন, আমরা আমাদের ভালো-মন্দ ভাগ্যটা বুঝিনা। আমাদের ভাগ্য আমরা নষ্ট করেছি। একজন পৌর মেয়রের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো এলাকার উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের সেবা করা। বর্তমানে যিনি মেয়র রয়েছেন, তিনি জনগণের সমস্যা সমাধান না করে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তিনি এলাকার কোনো উন্নয়ন না করায় জনগণের দুঃখের কথা ভেবে, আমি জেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত কাজ পৌর এলাকায় করেছি।
ওয়ার্ডবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, একজন মেয়র জনগণের সুবিধার্থে রাস্তাঘাট করবেন, ড্রেনের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা ও পয়ঃনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবেন, ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান তৈরি করবেন এবং জনসাধারণের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করবেন। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে বর্তমান মেয়র জনগণের জন্য কোনো কিছুই করেননি।
জনগণের চিন্তা যেই মেয়র করেন না, তাকে আবার ভোট দিলে দুর্ভোগ আপনাদেরই হবে। তাই নিজেদের স্বার্থে ভুল করেও নৌকার বাইরে কাউকে ভোট দিবেন না। আসন্ন পৌর নির্বাচনে নৌকায় ভোট না দিলে পৌর এলাকায় আমি আর কোনো উন্নয়ন করবো না।
এবার একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ রবিন হোসেনকে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী করা হয়েছে। নৌকা মার্কায় রবিনকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে। নৌকা বিজয়ী হলে কালীগঞ্জ পৌরসভা সবচেয়ে বড় আধুনিক হবে এবং আপনাদের উন্নয়ন হবে।
দলীয় নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্যে মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেন, প্রতিটি গ্রামে গ্রাম কমিটি গঠন করতে হবে। গ্রাম কমিটি জনগণকে বুঝাবেন। কেন নৌকায় ভোট দিবেন ? আওয়ামী লীগ সরকারের ১২ বছর যেই সব উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, সেই সব কাজের ফিরিস্তি জনগণের মাঝে তুলে ধরে নৌকায় ভোট দিতে জনগণকে উৎসাহ যোগাতে হবে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিতে জনগণকে বুঝানোর দায়িত্ব স্থানীয় নেতাকর্মীদের ।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রহলাদ চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান।
সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আশরাফী মেহেদী হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম আবু বকর চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তাসলিমা রহমান লাভলী, মেয়র প্রার্থী ও কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রবিন হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন দুলাল, কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, কালীগঞ্জ পৌর যুবলীগের সহসভাপতি লোকমান হোসেন পনির, যুবলীগ নেতা মো. জহিরুল ইসলাম, তাঁতী লীগ নেতা রুহুল আমিন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌকির আহমেদ অভি প্রমুখ।

