পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:৩১ AM, ৩০ নভেম্বর ২০২০

Spread the love

শাহারুল ইসলাম, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষুদ্র মেরামত ও সংস্কারের নামে ৫টি বিদ্যালয়ে ডাবল অর্থ বরাদ্দ দিয়ে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসুচী (পিইডিপি-৪) এর আওতায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ৬৭টি বিদ্যলয়ের বিপরীতে ২ লক্ষ টাকা করে মোট ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

অপরদিকে (রাজস্ব) বাজেটের আওতায় (মেরামত-সংস্কার) এর জন্য ২৯টি বিদ্যালয়ের বিপরীতে ১ লক্ষ ৫০ হাজার করে মোট ৪৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, দুটি প্রকল্পে মোট ১ কোটি ৭৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

বিধি অনুযায়ী বরাদ্দৃত অর্থ বিদ্যালয়ের (এসটিডি) একাউন্টে জমা করার নিয়ম থাকলেও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিধিমালার তোয়াক্কা না করে ওই অর্থ হতে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতে শিক্ষা অফিসের (এসটিডি) হিসাব নং (৫১১২৮০৩০০০৩৩৭) তে সমুদয় অর্থ জমা করে।

এদিকে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত)
একেএম আঃ ছালাম, পিইডিপি-৪ এর আওতায় ৬৭টি এবং রজস্ব খাতের আওতায় ২৯টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৫টি বিদ্যালয়ে (১) বৈরী হরিনমারী সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়, (২) ভবানীপুর সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়, (৩) হরিনমারী ১নং নব সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়, (৪) বড় শিমুলতলা উত্তরপাড়া নব সঃপ্রাঃ বিদ্যালয় ও (৫) ভেলাকোপা সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়ে ডাবল বরাদ্দ দেন। ওই ৫টি বিদ্যালয়ে ডাবল বরাদ্দ দিয়ে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

এ ব্যাপারে হরিনমারী ১নং নব সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, আমার বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের ১টি প্রকল্পের ২ লক্ষ টাকার কাজ চলছে।

এছাড়াও বৈরী হরিনমারী, ভবানীপুর, বড় শিমুলতলা উত্তরপাড়া ও ভেলাকোপা সঃপ্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ জানায়, আমাদের বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র মেরামতের ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ১টি করে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

শিক্ষা অফিসের (এসটিডি) হিসাব নম্বরে টাকা জমা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী কোন সদত্তোর দিতে পারেনি।

ডাবল বরাদ্দের বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা আঃ সালামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাবল বরাদ্দ পাস হয়নি। ট্রেজারী অফিস ১টি করে বরাদ্দ পাস করেছে।

বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখত সচেতন মহল সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :