পলাশবাড়ীতে ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজে ব্যাপক অনিয়ম
পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নে অতি দরিদ্র কর্মসৃজন কর্মসূচির প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম। কাজ না করেই টাকা উত্তোলন করছেন বেশিরভাগ শ্রমিক। বিভিন্ন তারিখে সরেজমিনে গিয়ে একাধিক প্রকল্পে উপস্থিত হয়ে তালিকা অনুযায়ী অর্ধেকেরও বেশি শ্রমিককে অনুপস্থিত পাওয়া যায়।
১মপর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে এ অনিয়মের খবর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে অত্র ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য বলেছিলেন ২য়পর্যায় প্রকল্পের কাজ শুরু হলে কোন অনিয়ম করতে দেওয়া হবেনা। যারা অনুপস্থিত থাকবে তাদের হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখানো হবেনা। কিন্তু ২য়পর্যায়ে কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে অদ্যবধি পূর্বের ন্যায় শ্রমিকরা অনুপস্থিত রয়েছে।
৬ জুন সকাল ১১টায় অত্র ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে ৩৮ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৯ জন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায়। বেলা ১২টার দিকে ১নং ওয়ার্ডে ৩৫ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৬ জন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায়। দুপুর ১টার দিকে ৩নং ওয়ার্ডে উপস্থিত হয়ে ৩৮ জন শ্রমিকের মধ্যে ১৬ জন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা যায়। শ্রমিকরা বলেন, যে শ্রমিকরা অনুপস্থিত রয়েছে তারা কোনদিনই কাজ করে না। আমরা যারা কাজ করছি তারাই প্রতিনিয়ত কাজ করি। যেসকল শ্রমিকরা কাজে অনুপস্থিত থাকে স্ব স্ব ইউপি সদস্য ও শ্রমিক সর্দার তাদেরও হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখিয়ে আসছে বলে জানা যায়।
অত্র ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর-কে অনুপস্থিত শ্রমিকের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমিও চাই যারা অনুপস্থিত রয়েছে বা যারা কোনদিনই কাজে আসেনা তাদের হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখানোর জন্য। কিন্তু ইউপি সদস্য ও শ্রমিক সর্দার সকল শ্রমিককে হাজিরা খাতায় উপস্থিত দেখিয়ে আসছে। তিনি আরও বলেন, মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেছেন যারা কাজ করবে না তাদেরকে অনুপস্থিত দেখিয়ে তাদের বিল প্রদান না করার জন্য। সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান-কে অনুপস্থিত শ্রমিকদের বিল প্রদান ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, বিল ভাউচারে আমার কোন স্বাক্ষর লাগে না। কিভাবে বিল দেওয়া হচ্ছে তাও আমার জানা নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, যারা অনুপস্থিত রয়েছে তাদের নামের তালিকা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

