পলাশবাড়ীতে বয়স্ক- বিধবা- প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীরা নগদ একাউন্ট নিয়ে চরম বিপাকে
শাহারুল ইসলাম, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
পলাশবাড়ীতে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীরা নগদ একাউন্ট নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। দীর্ঘদিন থেকে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন শতশত ভাতাভোগীরা। কে নেবে এর দায়ভার? জনমনে নানা প্রশ্ন?
জানা গেছে, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীরা নগদ একাউন্ট নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে। দিনের পর দিন মাসের পর মাস পলাশবাড়ী উপজেলা সমাজসেবা অফিসে ধর্ণা ধরেও মিলছেনা ভাতার টাকা। সমাজসেবা অফিস নিজের দায় এড়িয়ে দায়ী করছেন নগদ কর্তৃপক্ষকে।
এ ব্যাপারে ভাতাভোগীদের সাথে কথা হলে তারা জানান, আগে ব্যাংকের মাধ্যমে সহজ উপায়ে ভাতা উত্তোলন করাটাই সহজ হত। কিন্তু বর্তমান সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনা ভাতাভোগীরা যাতে আরো সহজে ভাতার টাকা উত্তোলন করতে পারে সে জন্য নগদ একাউন্টের মাধ্যমে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। ইতিপূর্বে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে নগদ কর্তৃপক্ষ ভাতাভোগীদের বইসহ তাদের মোবাইল নম্বরে নগদ একাউন্ট খুলে দেন। সেই একাউন্ট অনুযায়ী দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও অনেক ভাতাভোগীদের নগদ একাউন্টে ভাতার টাকা না আসায় সমাজসেবা অফিসে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ণা দিচ্ছেন ভাতাভোগীরা। নগদ একাউন্ট কর্তৃপক্ষ যে মোবাইল নম্বরে একাউন্ট খুলে দিয়েছেন সমাজসেবা অফিসে খোঁজখবর নিলে তারা বলেন আপনার ভাতার টাকা অন্য নগদ একাউন্টে গেছে। এর মধ্যে সমাজসেবা অফিস কিছু ভাতাভোগী নগদ একাউন্ট ঠিক করে দিলেও অদ্যবধি শতশত ভাতাভোগী ভীড় করছেন সমাজসেবা অফিসে। ভাতা না পাওয়া ভূক্তভোগীদের অভিযোগ তাদের একাউন্টে টাকা না দিয়ে একটি চক্র আমাদের একাউন্টের স্থলে তাদের একাউন্টে ভাতার টাকা নিয়েছে। যার কারণে আমরা আজ অবদি ভাতা পাচ্ছিনা।
ভাতাভোগীদের অভিযোগ সম্প্রতি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নাজমুল হাসানের সাথে ভাতাভোগীদের ভাতা না পাওয়ার ব্যাপাপে কথা হলে তিনি নগদ কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান জানান, আমি রংপুর বিভাগের নগদ কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেন ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যেই টাকা দেয়া হবে।

