পলাশবাড়ীতে বসতবাড়ী ভাংচুর, ফসল বিনষ্ট ও মারপিটের অভিযোগ

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:২৭ AM, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১

Spread the love

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বসতবাড়ী ভাংচুর, ফসল বিনষ্ট ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের সর্বাঙ্গ ভাদুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বাঙ্গ ভাদুরিয়া গ্রামের মৃত আঃ মজিদের স্ত্রী রহিমা বেওয়ার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৬০ শতক জমিতে বসতবাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিল। পাশাপাশি নালিশী জমিতে ভুট্টা, আলু, কুমড়া, মরিচসহ বিভিন্ন ফসল এবং ছোট ছোট ফলজ ও বনজ বৃক্ষাদি রোপন করে ভোগ দখল করে আসছিল রহিমা। নালিশী জমি প্রায় ৮০ বছর পূর্বে নিলামী মালিকানা সূত্রে দাবী করেন একই গ্রামের মৃত আবু মুন্সির ছেলে রাজা সরকার। ফলে রহিমা বেওয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে গাইবান্ধা জেলা সহকারী জজ আদালতে পরপর দুইটি অন্য মোকদ্দমা ৬১/১২ ও ২৩৯/১২ দায়ের করেন তিনি।

মামলার বিচার শেষে বিজ্ঞ বিচারক রহিমা বেওয়ার পক্ষে পরপর দুইটি রায় ঘোষণা করেন এবং বিবাদী পক্ষের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন দ্বারা রহিমা বেওয়ার অনুকুলে উক্ত জমি বুঝিয়ে দেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় রহিমা বেওয়া নালিশী জমিতে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে এবং বিভিন্ন ফসলাদি চাষাবাদ করে আসছিল। এদিকে প্রতিপক্ষ রাজা সরকার সহ অন্যরা গত রোববার সকালে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী দ্বারা জবরদখলের উদ্দেশ্যে উক্ত জমিতে হালচাষ করে ফসলাদি বিনষ্ট করে এবং বসতবাড়ী ভাংচুর করে। তাৎক্ষনিকভাবে গ্রামবাসীরা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশকে অবগত করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিবাদীদের প্রতি মৌখিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চলে যান।

রহিমা বেওয়া জানান, প্রতিপক্ষ আমার প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেছে। আমি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এর বিচার চাই।

এ ব্যাপারে বিবাদী রাজা সরকার বলেন, নালিশী জমি আমরা ৮০ বৎসর পূর্বে মালিকানা স্বত্ব নিয়ে কৌশলগত কারণে জমি দখল করতে গিয়েছি। তবে কোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়ায় আমি আপিলের আবেদন করেছি। আমরা জমিটা দখলে নেয়ার জন্যই আজকে সেখানে গিয়েছি।

আপনার মতামত লিখুন :