পলাশবাড়ীতে দু’দফা বন্যায় কৃষি ও মৎস্য খাতে প্রায় ২২ কোটি টাকার ক্ষতি
শাহারুল ইসলাম, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) থেকে;
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় অবিরাম ভারী বর্ষণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে দু’দফা বন্যায় বিভিন্ন ফসলের ও মৎস্য খাতে প্রায় ২১ কোটি ৮৪ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ২য় দফা বন্যায় পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকাসমূহে কয়েকদিনের অবিরাম ভারী বর্ষণে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে রোপা আমন, বীজতলা, পুকুরের মাছ, কাঁচা সবজির ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ উপজেলায় ১ম দফা বন্যায় কৃষকের অতিপরিশ্রমে ফলানো ফসল আংশিক ক্ষতি হলেও জীবিকার তাগিদে কৃষকরা আবারও স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। চলতি মৌসুমে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল ঘরে উঠানোর ঠিক আগ মুহুর্তে আবারও ২য় দফা বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কৃষকের সব স্বপ্ন একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। কৃষকদের স্বপ্নবোনা দিনের পর দিন হাঁড়ভাঙ্গা পরিশ্রমে ফলানো বিভিন্ন ফসল বন্যায় নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
একদিকে তাদের জীবিকা নির্বাহে ঘরে খাবারের চিন্তা অন্যদিকে ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়া জমিতে আবারও ফসল ফলানোর চিন্তা। সেই সাথে দেখা দিয়েছে গো খাদ্যের চরম সংকট। বন্যায় জমির সব ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন তারা মহা সংকটময় মুহুর্ত পার করছেন। এ দুর্যোগ মুহুর্তে সরকার যদি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে এই ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে জানান কৃষকরা। এদিকে বন্যায় পুকুর ও খামারের মাছ ভেসে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস্য চাষীরা।
কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবছর চলতি মৌসুমে অতিবৃষ্টি ও বন্যায় ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ১৬ হাজার ১’শ ৬০ জন কৃষকের ১ হাজার ৩’শ ৩০ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় ২১ কোটি ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সরকার জানান, পলাশবাড়ী উপজেলায় এবারে ২য় দফা বন্যার কারণে মৎস্যচাষীদের প্রায় ৫৪.১৮ মেঃটঃ মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এত করে মৎস খাতে ৮১ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

