পলাশবাড়ীতে দাদন ব্যবসায়ীর কবলে নিঃস্ব মানুষ

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:৩৭ PM, ০৭ মার্চ ২০২১

Spread the love

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

পলাশবাড়ীতে শত শত মানুষকে সর্বশান্ত করে বিলাশ বহুল অট্টালিকা তৈরি করেছে কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ী রুহুল আমিন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীসহ ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন জানান, পলাশবাড়ী পৌর শহরের গৃধারীপুর গ্রামের ময়না কসাই- এর ছেলে রুহুল আমিন এক সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগে দিন মজুরের কাজ করত। প্রায় ২৫/৩০ বছর আগে মাত্র কয়েক হাজার টাকা নিয়ে দাদন ব্যবসা শুরু করে রুহুল আমিন।

এরপর দাদন ব্যবসার টাকা আদায় করতে ভয়ংকর রুপ ধারণ করতে থাকে এই রুহুল আমিন। কেউ টাকা নিয়ে সময় মত দিতে না পারলে টর্চার সেলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালাতো।

তাকে সর্বদা সব সময় সহযোগিতা করতেন সাবেক একজন ইউপি চেয়ারম্যান। তার প্রভাবেই তিনি হাজার থেকে লক্ষ এর পর কোটিপতি বনে যায়। থানায় সালিশ কিংবা আইনগত জটিলতায় পড়লে ওই ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় তা মিমাংশা করা হতো।

এমন কয়েকজন ভুক্তভোগি ব্যক্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, গৃধারীপুরের জেলাল, নুর আলম, চকপাড়ার আইজার, নওশা, মনোয়ার, সিএন্ডবির মজিবর মহেষপুরের আনোয়ার মুন্সি, পলাশগাছীর মৃত মোজাম্মেল, গৃধারীপুরের জাহিদুল, ভাটা মালিক বক্কর, ডিস ব্যবসায়ী প্রভাতসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি।

এদের কারো কাছ থেকে চেক বইয়ের পাতায় স্বাক্ষর, কারো সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে জিম্মি করে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ আদায় করে থাকে। অনেকের শেষ সম্বল বাড়ী ভিটে মাটি জমি নিজ নামে লিখে নিয়ে সর্বশান্ত করে বিলাশ বহুল অট্টালিকা তৈরি করেছে এই দাদন ব্যবসায়ী রুহুল।

এছাড়াও টাকার বিনিময়ে সোনার গহনা, মুল্যবান আসবাবপত্র, মোটর সাইকেল, গরু-ছাগল পর্যন্ত ধরে নিয়ে যাওয়ার মত নজির স্থাপন করেছেন এই দাদন ব্যবসায়ী।

টাকা আদায়ের জন্য রুহুল আমিনের রয়েছে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী বাহিনী। মোটরসাইকেল হাকিয়ে প্রতিদিন টাকা আদায়ের জন্য ভুক্তভোগীদের বাড়ীতে গিয়ে বিভিন্ন অত্যাচার চালায় তারা।

সস্প্রতি রুহুল আমিন পৌর শহরের গৃধারীপুর গ্রামে তৈরী করেছে কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ তলা একটি ভবন।

আপনার মতামত লিখুন :