পলাশবাড়ীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে বিনিময়

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৩:৫৬ PM, ২৩ জুলাই ২০২২

Spread the love
শাহারুল ইসলাম, পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৩ জুলাই শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়নের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ।
এ সময় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালন বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার তার বক্তব্যে বলেন, প্রথমেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর বলেছিলেন- “মাছ হবে দ্বিতীয় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ”।
এবার মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। আপনারা জানেন, আমাদের প্রাণীজ আমিষের প্রায় ৬০ ভাগ যোগান দেয় মাছ। মোট জিডিপির ৩.৫০ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপির ২৫.৭২ ভাগ মৎস্য খাতের অবদান। বর্তমান মৎস্যবান্ধব সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের ফলে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী বিগত ১০ বছরের হিসাবে মৎস্য উৎপাদন প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ২য়।
দেশের সাফল্য আজ বিশ্ব পরিমন্ডলেও স্বীকৃত। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ১ম, অভ্যান্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ আহরণে বাংলাদেশ ৩য় এবং জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে ৫ম।
জনণের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি চাহিদা পুরন,কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন মৎস্যখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিল-ঝিল, হাওর-বাওড়, নদী-নালায় পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষ করতে হবে। মাছের চেয়ে এতো নিরাপদ আমিষ আর নেই। মৎস্য চাষ সম্প্রসারণে গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ২৬টি লাগসাই প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। যার মধ্যে এ উপজেলায় প্রযুক্তিগুলো হলো-রুই জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ, গলদা চিংড়ি চাষ, তেলাপিয়া চাষ, পাঙ্গাস চাষ, কৈ, শিং মাগুর মাছের চাষ, পাবদা, গুলশা চাষ, নার্সারী পুকুরে পোনা পালন, বিল নার্সারী স্থাপন, মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন ইত্যাদি।
আপনারা অবগত আছেন দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছ চাষে পলাশবাড়ী উপজেলা এগিয়ে যাচ্ছে। বেকার যুবকরা মাছ চাষে মনোযোগ দেওয়ায় তাদের বেকারত্ব দুর হচ্ছে। আমাদের মাছের উৎপাদন ৩৯৪৫ মে.টন এবং চাহিদা ৪৬৬৮ মে.টন। মাছে যে ঘাটতি রয়েছে তা আগামীতে মাঠ পর্যায়ে চাষীদের নিবিড়ভাবে পরামর্শ দিয়ে এবং উম্মুক্ত জলাশয় গুলো সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঘাটতি পূরণে সক্ষম হব এজন্য তিনি সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন।
তিনি সাকার ফিশ ও আফ্রিকান মাগুর চাষ ও বাজারজাত না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও দেশীয় মাছ রক্ষার্থে কারেন্ট জাল ও শয়তাল জাল ব্যবহার যাতে না হয় সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকারও পরামর্শ প্রদান করেন।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানগুলোর প্রতি আমন্ত্রণ জানান সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সরকার।  এসময় উপজেলা মৎস্য অফিস ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন :