পলাশবাড়ীতে আবাদি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব 

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৪:১৭ PM, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

Spread the love

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসব চলছে। ফলে ওই জমি পুকুরে রুপান্তর করা হচ্ছে। খননকৃত জায়গাগুলো পুকুরে পরিনত হওয়ায় একদিকে কৃষি জমি হচ্ছে পুকুর আর অন্যদিকে ঘরবাড়ি হুমকির মুখে।

মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামে দেখা যায়, অবাধে মাটি কাটার চিত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছোট ভগবানপুর গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার পরিবার কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করে আসছে। সেখানে ১২-১৫ ফুট গহিন করে বিশালাকৃতির পুকুর করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে এসব মাটি কাঁকড়া (ট্রাক্টর) দিয়ে বহন করায় ঐ এলাকার রাস্তা গুলোতে খালেখন্দের সৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে, হোসেনপুর ইউনিয়নের কদমতলী এলাকা থেকে আমবাগান পর্যন্ত করতোয়া বাঁধের অবস্থা ভয়াবহ। ঐ এলাকার কৃষি জমি থেকেও মাটি বিক্রি করে কৃষি জমি বানানো হচ্ছে পুকুর। সেই মাটি পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ যান কাকড়া। ঐসব কাকড়া বাঁধের উপর দিয়ে চলাচলের কারণে বাঁধটি হুমকির মুখে পড়েছে। এমনকি বাঁধের বিভিন্ন স্থানে গর্তে পরিনত হয়েছে। যার ফলে হাজার হাজার মানুষের চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে বাঁধটি। এছাড়া মাটি খননের কারনে বর্ষা মৌসুমে বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কাসহ শতাধিক হেক্টর ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়বে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, আমবাগান এলাকার কার্তিক বাবু নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন থেকে করতোয়া নদী থেকে মাটি বিক্রি আসছে। ঐসব মাটি পরিবহনে তিনি দিন রাত কয়েকটি কাকড়া ব্যবহার করছেন।

হোসেনপুর ইউনিয়নের করতোয়া পাড়ার স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, খননকৃত জায়গাগুলোতে মাটি দিয়ে ভরাট না করা হলে, বর্ষাকালে বিলীন হতে পারে ঘরবাড়ি ও আবাদী জমি। সম্ভাব্য এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তিনি।

আপনার মতামত লিখুন :