পলাশবাড়ীতে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ০৬:৫২ PM, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

Spread the love

শাহারুল ইসলাম, পলাশবাড়ী প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর মাঠের বাজার আবু বকর ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ব্যাপক সীমাহীন অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিষ্ঠানের গর্ভনিং বডির নির্বাচিত ৩ সদস্য।

১ ফেব্রুয়ারী দুপুরে মাদ্রাসা সংলগ্ন অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, গর্ভনিং বডির নির্বাচিত সদস্য নাজমুল হক প্রধান। তিনি তার লিখিত বক্তব্য বলেন, অত্র মাদ্রাসার গভর্নিং বডির আমরা ৩ জন নির্বাচিত সদস্য এবং বাকি সদস্যরা অধ্যক্ষের পকেটস্থ ও মদদপুষ্ঠ। ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের গভর্নিং বডিকে গত ২০১২ সালের জানুয়ারী মাসের ২ তারিখে অনুমোদন দিলেও সুচতুর অধ্যক্ষ মাওলানা সাইদুর রহমান বিলম্ব করে আমাদেরকে ২০১২ সালের মে মাসের ২৯ তারিখে অনুমোদন দিয়ে পূর্বের গভর্নিং বড়ির তার পকেটস্থ ৫ সদস্যদের দিয়ে মাদ্রাসার কার্যক্রম চালিয়ে যান।

পরবর্তীতে তাদের অনেক অনিয়ম দূর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিলে আমরা এর প্রতিবাদ জানালে অধ্যক্ষ কোন কর্ণপাত না করে আমাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করে। এরপরে ২টি শূন্য পদে অফিস সহকারী কাম-হিসাব সহকারী ও ঝাড়ুদার/নৈশ্য প্রহরী পদে জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত গৃহিত হলেও অধ্যক্ষ এবং তার মদদপুষ্ট কমিটি কৌশলে একটি অতিরিক্ত পদ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর যোগ করে নিজের পছন্দের ব্যক্তিকে বিধিবহির্ভূত ভাবে নিয়োগ প্রদানের চেষ্টা চালায়। আমরা সহ অভিভাবকরা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত পলাশবাড়ী, গাইবান্ধায় একটি ২৩১/২২ ঘোষণামূলক মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলাটি বর্তমান চলমান থাকলেও অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান তার বক্তব্যে মামলাটি খারিজ হয়েছে বলে মিথ্যাচার করেন এবং মামলার তথ্য গোপন করে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি মহোদয়ের প্রতিনিধি চেয়ে আবেদন করেন এবং সু-কৌশলে গত ২৭ জানুয়ারী-২০২৩ শুক্রবার অত্র মাদ্রাসায় কিছু ভাড়াটিয়া লোকজনের সহযোগীতায় পরীক্ষা শুরু করে। তীব্র অনিয়মের কারণে বিষয়টি জানতে পারায় তাৎক্ষনিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে উভয়পক্ষের কাছে ঘটনা জানার পর এবং কোর্টে মামলা চলমান থাকায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থাগিত ঘোষনা করেন। এসময় ডিজি’র প্রতিনিধি ও জেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রোকসানা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণে পত্র-পত্রিকায় ফলাও করে খবর প্রকাশিত হলে তার প্রতিবাদে গত ৩০ জানুয়ারী আমার বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। বরং অধ্যক্ষের অনিয়ম দূর্নীতি ও অবহেলায় ঐতিহ্যবাহী মাঠের বাজার আবুবকর ফাযিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসাটির অবকাঠামো এবং পরিবেশগত হুমকির সম্মুখীন। আমি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণসহ মাদ্রাসার সুনাম ও শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সহ অধ্যক্ষের সকল অনিয়ম দূর্নীতির তদন্ত জোর দাবি জানাচ্ছি।

আপনার মতামত লিখুন :