নৌকার মনোনয়ন চান গোবিন্দগঞ্জের তারিক রিফাত

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১১:২৩ AM, ০৭ অক্টোবর ২০২১

Spread the love

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ৪নং রাজাহার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আ’লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান অত্র ইউনিয়ন শাখা আ’লীগের কোষাধ্যক্ষ তারিক রিফাত। তিনি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে সক্রিয় রাজনীতিতে ভূমিকা পালন করে আসছেন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আ’লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী এবং উন্নয়ন ধারাকে অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চান তিনি। যুব সংগঠক ও তৃনমুল নেতা-কর্মীদের কাছে অত্যান্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি তারিক রিফাত।

তারিক রিফাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ৪নং রাজাহার ইউনিয়নের প্রভুরামপুর গ্রামে ১৯৬৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারী এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্র অবস্থায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর আদর্মে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগ দেন। এরপর তিনি রাজনৈতিক বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, মিছিল মিটিং করেন। ১৯৮৪ সালে এসএসসি, ১৯৮৬ সালে গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৮৮ সালে গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ থেকে বি.কম পাস করেন। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুুবলীগের সক্রিয় রাজনীতি করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আ’লীগ রাজাহার ইউনিয়নে শাখার অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং রাজাহার ইউনিয়ন আ’লীগকে একটি শক্তিশালী ইউনিট হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

তারিক রিফাতের বাবা মরহুম আবু তাহের বিএসসি ১৯৭২ সালে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৪-১৯৮৮ ইং সাল পর্যন্ত সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০-১৯৭৩ সাল এবং ১৯৮৪-১৯৮৮ ইং সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আ’লীগ, রাজাহার ইউনিয়ন শাখার সভাপতির দায়িত্বও অত্যান্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন।

তারিক রিফাত বলেন, আমাকে বাংলাদেশ আ’লীগের মনোনয়ন দেওয়া হলে বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কারণ ইউনিয়নবাসীর মাঝে আমাদের পরিবারের ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং আমার ব্যক্তিগত ইমেজ রয়েছে। বিপদে-আপদে ইউনিয়নবাসীর পাশে থেকেছি সবসময়। নিজে কিছু পাওয়ার জন্য রাজনীতি করি না, আমার রাজনীতি রাজাহার ইউনিয়নবাসী সহ উপজেলার মাটি ও মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকা।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, তাহলে ইউনিয়নের জনগণের সহযোগিতায় আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে পরিকল্পিতভাবে ইউনিয়নকে ডিজিটাল হিসেবে গড়ে তুলব। আমার বাবা যেমন ইউনিয়নবাসীর পাশে থেকে রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ করেছিলেন। তেমনি ইউনিয়বাসীর সহযোগিতা পেলে অত্র এলাকার যোগাযোগ, শিক্ষা ব্যবস্থা ও অন্যান্য অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন এবং আরও সমৃদ্ধশালী ইউনিয়ন গড়তে সেই কাজ বাস্তবায়ন করতে চাই।

১৯৯৬ সালে রংপুর যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে আত্মকর্মসংস্থান মূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বেকার যুবদের নিয়ে সমিতি গঠনের মাধ্যমে কৃষি, পশুপালন ও মৎস্য চাষের মাধ্যমে নিজে সাবলম্বী এবং যুব সমাজকে কর্মমূখী করে গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি এলাকা ছাড়াও উপজেলা ও জেলায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এসব কাজে বিশেষ অবদান রাখায় বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভিন্ন পুরস্কার এবং তরুন উদ্দ্যোক্তা হিসেবে সনদপত্র প্রদান করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :