নীল ও লাল দুই সহোদ্বরের মানবেতর জীবন যাপন

DBCNEWS24DBCNEWS24
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  ১২:৫৯ AM, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

Spread the love

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি;

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার শিবরামপুর গ্রামের মৃত নীল কান্ত বমর্ণ ও লাল কান্ত বর্মণের মালিকানাধীন ২ একর ৯৫ শতাংশ জমি স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জবর দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠছে।

এ ঘটনায় আদালতে মামলা চলমান রয়েছে । যুগের পর যুগ ধরে এসব জমি হতে বঞ্চিত হয়ে আছে সহোদ্বর নীল ও লাল কান্তের পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে পৌর এলাকার জামালপুর গ্রামে অন্যের জমিতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। অসহায় পরিবারের নায্য অধিকার আদায় ও পত্রিক সম্পতি ফিরে পেতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মানুবিক সহায়তা কামনা করেন ভুক্তভোগী হিন্দু ধর্মালম্বী পরিবারটি।

স্থানীয় সূত্রে ও চলমান মামলার তথ্য সূত্রে জানা যায়, বর্তমান পলাশবাড়ী পৌরসভার অন্তভুক্ত শীবরামপুর মৌজায় জেএল নং ৮০ ,সিআর এস নং-১০৪,এসএ খতিয়ান নং-১৩২ এর দাগ নং ১৯২ এর মধ্যে ১৪০ শতাংশ ,৩২৪ দাগের মধ্যে ৭৬ শতাংশ ,৩২৬ দাগের মধ্যে ৪৮ শতাংশ,৩৩১ দাগে ৩ শতাংশ,৩৩২ দাগে ৪৮ শতাংশ,৩৩৪ দাগে ১৮ শতাংশ ৩৪৩ দাগে ১১ শতাংশ ,৩৬২ দাগে ৫১ শতাংশ জমিসহ মোট ২ একর ৯৫ শতাংশ জমি স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তি এসব জমি দীর্ঘদিন হলো জবর দখল করে রেখেছেন। এঘটনায় ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় বিজ্ঞ আদালতে ৬৫ /১৫ একটি মামলা চলমান রয়েছে।

উক্ত গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মৃত নীল ও লাল দু ভাইয়ের বসতবাড়ীর জায়গায় কালাই চাষ করেছেন স্থানীয় নুরজ্জামান গং ও অন্যান্য জমিতে বাবর আলী গং এর লোকজন বিভিন্ন ফসল লাগিয়েছেন।

স্থানীয় জনসাধারণ বলেন, নীল ও লাল কান্ত বর্মণ নামে দুই সহোদর ভাইয়ের বসতবাড়ী ছিলো সেখানে এখন নুরুজ্জামান কালাই চাষ করছেন। উক্ত জমি ভোগদখলকারী নরুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,নীল ও লাল দুই ভাইয়ের এবং নীলের বড় ছেলের নিকট হতে বসতভিটাসহ অন্যান্য জমি ক্রয় করেছেন। এছাড়া বাবর আলী গং বাকি অংশ ভোগ দখল রেখেছেন।

এসময় তার নিকট থাকা জমি ক্রয়ে কাগজপত্রাদি দেখতে চাইলে দেখাতে পারেনি।তিনি জানান উক্ত জমির সকল কাগজপত্র আদালতে রয়েছে আমাদের নিকট নাই।

এদিকে, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য নীল কান্ত বর্মনের ছেলে প্রদীব চন্দ্র জানান, পত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারে দীর্ঘদিন হলো আদালতে ধর্না দিয়ে যাচ্ছি আজও কোন সুরহা হচ্ছে না ।

অপর দিকে, অন্যের জায়গায় মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমাদের পত্রিক সম্পতি কিভাবে অন্য ধর্মের লোক মালিকানা হলো তা জানতে বা দেখতে পারি নাই্ দখলকারীদের নিকট কাগজ পত্র দেখতে চাইলে তারা বিভিন্ন ভাবে তাল বাহান করে যাচ্ছে। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্টদের নিকট সঠিক বিচার চাই ।

আপনার মতামত লিখুন :